একবিংশ শতাব্দীর চ্যলেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত পুলিশ

একবিংশ শতাব্দীর চ্যলেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত পুলিশ

পুলিম কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, একবিংশ শতাব্দীর চ্যলেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার পুলিশ বাহিনীকে যুগোপযোগী, দক্ষ, পেশাদার করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে। নতুন আঙ্গিকে মডিউল ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ ও দক্ষ পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি এই পুলিশ বাহিনী সত্যিকার অর্থে জনগণের কাঙ্খিত সেবা পৌঁছে দিতে সক্ষম হবে।

সোমবার সকালে খুলনা পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার সংযুক্ত ১০ এপিবিএন বরিশালে ৫৩ তম (টিআরসি) প্রশিক্ষণার্থীদের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যপুলিশ কমিশনার বলেন, যারা পুলিশে নবীন সদস্য আজকে এই পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেছে তারা যেমন জানে, তেমনি সারা দেশের মানুষ জানে একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নিয়োগ হয়েছে পুলিশ বাহিনীতে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রশংসা করে বলেছেন, ‘বর্তমান আইজিপি মহোদয়ের নেতৃত্বে যে নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তোমরা এসেছো তা ছিলো অত্যন্ত সৎ, স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ। তোমরা কারো কোন তদবীর ব্যতিত তোমাদের মেধায় ও যোগ্যতায় এখানে এসেছো। সুতরাং তোমরা এই নতুন প্রজন্ম। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে উদ্যম নিয়ে প্রকৃত পুলিশ এর আদর্শ লালন করবে। যাতে অনিয়ম দুর্ণীতি কাটিয়ে নিয়ামক শক্তি হয়ে উন্নয়নের মহাসড়কে আরও বেগবান হয়ে দ্বারে দ্বারে সেবা পৌঁছে দিবে সেই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। লাখো শহীদের ত্যাগের বিনিময়ে যে দেশ আমরা পেয়েছি সে দেশের জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে এই পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার এর নিবিড় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তোমরা আজ থেকেই প্রস্তুত’।

‘মুজিব বর্ষ’ হিসেবে এই বছরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আমরা শ্লোগান নিয়েছি ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার’ এই শ্লোগানকে মনে ধারণ করে সত্যিকার অর্থে জনগণের পুলিশ হয়ে কাজ করতে হবে। আমি প্রশিক্ষণার্থীদের সার্বিক সফলতা কামনা করছি।