ওলট পালট ‘কঠোর বিধিনিষেধ’

ওলট পালট ‘কঠোর বিধিনিষেধ’

বরিশাল নগরীতে ওলট পালট ‘কঠোর বিধিনিষেধ’। বিক্রেতা-ক্রেতা, হেলপার-প্যাসেঞ্জার উভয় পক্ষ মিলেই ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ সার্কাস খেলা বানিয়েছে। কেউই মানছে না স্বস্থ্যবিধি। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে লকডাউনের আদলে দেওয়া কঠোর বিধিনিষেধ ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। দোকানপাট ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখরা কথা বলা হয়েছে নতুন প্রজ্ঞাপনে। গত বুধবার দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখা ওই সিন্ধান্ত জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ প্রপ্রিল) সরজমিনে দেখা যায়, বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ, নতুন বাজার, চক বাজার, সদর রোড, কাটপট্টিসহ বিভিন্ন এলাকার দোকানে নেই স্বাস্থ্যবিধি। দোকানপাট-শপিংমলে ভীড় জমিয়ে বসেছে ক্রেতারা। শারীরিক দূরত্ব বজায় না রেখেই কেনা-বেচা করছে। অন্যদিকে অটো রিক্সা, মাহিন্দ্রা, নগরীর খাবার দোকান, হোটেল, রেস্তোরায় স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন লক্ষণ নেই। ইফতার বাজার নাজেমস্সহ অন্যান্য ইফতার বিক্রির প্রতিষ্ঠানেও নেই স্বাস্থ্যবিধি। ওই সব ইফতার বাজারের সামনে দেখা যায় গাড়ীর লম্বা লাইন।

নগরীর বড় বড় শপিংমল, টপটেন, ভার্গো, ইজি ফ্যাশন হাউজ, প্লাস পয়েন্ট, ফাতেমা সেন্টারে- রিচ ম্যান, ইনফিনিটি, চন্দ্রবিন্দুসহ অনেক শপিমল রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখতে দেখা গেছে। দেখা যায় সাধারণ ক্রেতাদের উপচে পরা ভীড়। রাতের বেলায় ওই সব স্থানে নেই কোন নজরদারী।

চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাস থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকে এবং মার্চের শুরুতে এসে তীব্র আকার ধারণ করে। সংক্রমণ ঠেকাতে ৫ এপ্রিল থেকে প্রথম দফায় সাত দিনের জন্য ‘বিধিনিষেধ’ শুরু হয়। পরে আরও দুই দিন বাড়িয়ে শেষ হয় ১৩ এপ্রিল। এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ ঘোষণা করে সরকার, যা চলে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত। কিন্তু গত বুধবার ২১ তারিখ থেকে আরেক দফা এই বিধিনিষেধ বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল করা হয়। নতুন ঘোষণায় এবার তা ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছ।

বরিশালের জেলা প্রশাসন জসিমউদ্দিন হায়দার বলেন, জনগণকে সচেতন করার প্রক্রিয়া চলমান। দোকানপাঠেও আমাদের নজরদারী চলছে। সরকারের নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি না মানলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।