ওসির আচরণ বিমাতাসুলভ,দায়িত্বশীল ভূমিকা নিন

কথায় আছে, স্বভাব যায় না মলে। প্রবাদটা বলতে চাইনি, বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ববোধ দেখে বলতে বাধ্য হচ্ছি। কয়েক পুরিয়া গাঁজা দিয়ে আসামী আটকের ঘটনা কমেছে। তবে প্রচলনটি উঠে গেছে বলা যাবে না। ছিচকে চোর ধরাসহ নানা কাজে পুলিশ তাঁর কতব্য ও নিষ্ঠা বোঝাতে এমন দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এসব কাজে তারা পুরষ্কারও পান। সেগুলো ফলাও করে প্রচারও করা হয়। কিন্তু কর্তব্যে অবহেলা তিরষ্কার ভৎসনা শোনেন কি না তা খুব একটা নজরে আসে না। তবে বাস্তব ঘটনা এড়িয়ে গিয়ে দুষ্টের সঙ্গে গাটছড়া বাঁধার ঘটনা অহরহ ঘটে চলে। যদিও পুলিশ আগের যে কোন সময়ের চেয়ে মানবিক পুলিশের ভূমিকার পালন করে দৃষ্টান্তও স্থাপন করেছে। বিশেষ করে করোনা শুরু হওয়ার পর পুলিশের ভূমিকায় আস্থা ফিরে পায় সাধারণ মানুষ। তারপরও কিছু ব্যক্তি ও কর্মকর্তার আচরণে মানবিক পুলিশের ভূমিকায়ও তিলক এঁকে দেয়। যা ঘটিয়েছেন বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আজিমুল করিম।
গত ৯ জানুয়ারি সুরভী-৯ লঞ্চে যাত্রী ও সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও অভিযুক্ত ম্যানেজার মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার না করে ঘৃন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন ওসি আজিমুল করিম। যাত্রী সেবার পরিবর্তে যাত্রীদের মারধর এবং সেই দৃশ্য ধারণ করতে গিয়ে সাংবাদিক মারধরের শিকার হওয়ার পরও ওসি তাদের পাশে দাঁড়াতে পারেননি। এমন ঘটনা সত্যিই লজ্জার। এঘটনায় বরিশালের গণমাধ্যমকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। ক্ষুব্ধ হয়ে তারা প্রতিবাদে নেমেছেন। অভিযুক্ত মিজানের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তারা বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার প্রত্যাহার দাবি করেছেন।
কেন এমন হলো? সাংবাদিকরা তো কোন অনৈতিক ও বাড়তি সুবিধার কথা বলেননি। তারা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সাংবাদিক লঞ্ছিতকারী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে শাস্তি দেওয়ার জন্য। দুটো অভিযোগ দেওয়ার পরও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি ওসি আমিজুল করিম। গণমাধ্যমকর্মীদের অভিযোগ এখন ওসি আজিমুলের দিকে। তিনি কি অভিযুক্তকে রক্ষায় নেমেছেন? দায়িত্বশীল চেয়ারে থাকা ব্যক্তির কাছে দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করে সাধারণ মানুষ। পুলিশের কাজে যদি অবহেলা হয়ে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
মেট্রোপলিটন এলাকায় কোতয়ালী থানাকে বলা হয় মেট্রোর কেন্দ্র। গুরুত্বপূর্ণ এমন একটি থানায় অবশ্যই নিবেদিতপ্রাণ ও যোগ্য ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনে ব্যর্থ হলে অবশ্যই পুলিশের মর্যাদাহানি ঘটে। এই দুর্নাম যাতে না হয় সেদিকে নজর দিয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতেই হবে।