বরিশালে নির্মাণ কাজে কাউন্সিলর মজিবরের বাধা

বরিশালে নির্মাণ কাজে কাউন্সিলর মজিবরের বাধা

লিজকৃত সম্পত্তিতে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মজিবর রহমান। একই সঙ্গে তিনি হুমকিও দিয়েছেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টি দপ্তরগুলোতে লিখিত অভিযোগ করেছে ব্যবসায়ী। বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলীর অভিযোগে কাজ বন্ধ করেছে বললেন কাউন্সিলর। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছে পুলিশ।

বরিশাল নগরীর বান্দ রোডে জেলা পরিষদের মালিকাধীন জমি লীজ নিয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী নির্মাণ কাজ করছিলো ব্যবসায়ী মো. শামিম হাওলাদার লিয়ন। গত মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মজিবর রহমান কাজ বন্ধকরে দিয়ে হুমকী প্রদান করেন। 
মো. শামিম হাওলাদার লিয়ন বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কালুশাহ্ সড়কের স্থায়ী বাসিন্দা।

ব্যবসায়ী মো. শামিম হাওলাদার লিয়ন জানান, নগরীর শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের সামনে বান্দ রোডের পাশে জেলা পরিষদের মালিকাধীন বিআইডব্লিউটিএ’র অফিসের গেট থেকে ওয়াপদা গেট পর্যন্ত এরিয়ার ১১ নম্বর প্লটের  ৯০২ বর্গফুট জমি ব্যবসার জন্য লীজ নেন। পরে বরিশাল সিটি করপোরেশন থেকে একটি সেমিপাকা ঘরের নকশা অনুমোদন নিয়ে সেখানে একটি দোকানঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেন তিনি। কোন কারণ ছাড়াই বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মজিবর রহমান গত ১৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১১টার তার লোকজন নিয়ে সরেজমিন গিয়ে চলমান নির্মণ কাজ বন্ধ করে দেন। পরে মুঠোফোনে নানা রকমের হুমকি দেন।

তিনি আরো বলেন, গতকাল বুধবার পুনরায় কাজ শুরু করলে সকালে কাউন্সিলর নির্মাণ শ্রমিক এবং আমাকে গালিগালাজ করেন এবং ভয়ভীতি দেখান। এই চলমান নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়ায় আমার ব্যবসায়ীক ক্ষতি হচ্ছে। লীজকৃত সম্পত্তিতে অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী স্থাপনা নির্মাণ করতে পারি সে জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।

কাউন্সিলর মজিবর রহমানের সঙ্গে মোবইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন সদউত্তর দিতে পারেনি। তিনি বলেন, ওই জমির পাশে বিআইডব্লিউটিএ’র ৫ ফুট জমি আছে। সেখানে বিআইডব্লিউটিএ’র ওয়াল ঠেকিয়ে ওই বিল্ডিং এর কাজ শুরু করেছে। তিনি দাবি করেছে, বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলীর অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি কাজ বন্ধ করেছেন। তবে বিআইডব্লিউটিএ’র কর্তৃপক্ষ কেন সরাসরি ব্যবস্থা নেয়নি এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন ‘সিটি করপোরেশনে যোগাযোগ করেন।

এব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম বলেন, ‘কাজে বাধা ওদওয়া নিয়ে আমাদের থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত করে দেখবো।