কঠোর আন্দোলনে যাচ্ছেন শিক্ষক নিবন্ধনধারীরা

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ৩য় গণবিজ্ঞপ্তির ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ আটকে আছে। দ্রুত চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ না করা হলে বড় ধরনের কঠোর কর্মসূচীর প্রস্তুতি নেয়া হবে। রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে নিয়োগ প্রত্যাশীরা।
এতে বলা হয়, শূন্য পদের বিপরীতে প্রায় দেড় লাখ আবেদনকারী চূড়ান্ত নিয়োগের ফলের অপেক্ষায় দীর্ঘ সময় পার করছে। ইতোমধ্যে, ঢাকায় অবস্থানরত নিবন্ধনধারীরা প্রত্যেক জেলার নিবন্ধনধারীদের নিয়ে ভার্চুয়াল আলোচনা করছে ও দিকনির্দেশনা প্রদান করছে। এরপরও কোনো জটিলতা না থাকা সত্ত্বেও ফল প্রকাশ করা হচ্ছে না।
আরো বলা হয়, এনটিআরসিএ ঠুনকো অজুহাতে হাজার হাজার বেকার নিবন্ধনধারীদের কষ্ট দিচ্ছে, তাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। যা অমানবিক ও নিষ্ঠুরতা ছাড়া কিছুই নয়। ফল প্রকাশে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
নিয়োগ প্রত্যাশীরা জানান, একাধিক আবেদন করায় শিক্ষিত বেকাররা মারাত্মকভাবে ঋণগ্রস্ত হয়েছেন। অনেকেই ধার-দেনা করেছেন। এমনকি জমি ও মূল্যবান সম্পদ বন্ধক রেখেও আবেদন করেছেন। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় পাস করেও ফল পাওয়া যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে ১-১৫তম নিবন্ধনধারীদের সমন্বয়ক ও গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী ফোরামের মুখপাত্র আব্দুর রহিম সুমন বলেন, আর কোনো সুযোগ নয়। সারাদেশের সকল নিয়োগ প্রত্যাশীরা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এমন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে হাজারো নিয়োগ প্রত্যাশী রাজপথে নামবে।
গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী ফোরামের শান্ত আহমেদ বলেন, আমরা হাজার হাজার টাকা খরচ করে নিয়োগের জন্য আবেদন করেছি আর আমরা ধৈর্য ধরতে চাই না। কাঙ্ক্ষিত ফলাফল প্রকাশ না হওয়ায় আমরা ব্যক্তিগত, পারিবারিক- সামাজিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা, দক্ষ ও মানসম্মত শিক্ষক তৈরি ও শিক্ষাক্ষেত্রের উন্নয়নে ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ অত্যন্ত জরুরি। সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে লাখো নিবন্ধিত বেকার শিক্ষকদের পক্ষ থেকে, এনটিআরসিএ এর সকল কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও জবাবদিহিতার আওতায় আনার জোর দাবী জানাচ্ছি।
গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী ফোরামের হাবিবুল্লাহ রাজু বলেন, ধৈর্য ধরতে ধরতে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। আর কোন ধৈর্য বা অপেক্ষা নয়। এখন পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে লক্ষাধিক বেকারের প্রাণের দাবীতে গনবিজ্ঞপ্তির ফল আদায়ে রাজপথে নামতে বাধ্য হতে হবে। অমানবিক ও নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমরা চাই এনটিআরসিএ আর তামাশা না করুক, দ্রুত সময়ের মধ্যে ৫৪ হাজার বেকার ও পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়ে তাদের স্বচ্ছতা অব্যাহত রাখুক।