কাতার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী পর্ব শুরু

কাতারের আল বায়ত স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠলো ‘দা গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ এর ২২ তম আসরের। উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে কফি আনানের পর দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যান্ড বিটিএসের গায়ক জাংকুক ও কাতারের ফাহাদ আল–কুবাইশি বিশ্বকাপের অফিশিয়াল গান ‘ড্রিমারস’–এ পারফর্ম করেন।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে শীতকালে এটাই প্রথম আসর। আরব বিশ্বেও এই প্রথম অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্বকাপ। আর বিশ্বকাপে প্রথম কোরিয়ান হিসেবে উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করবেন জাংকুক। এশিয়ায় এটি দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। ২০০২ সালে জাপান–কোরিয়া বিশ্বকাপে সিউলের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান ছিল চোখ ধাঁধানো।
৬০ হাজার আসনবিশিষ্ট আল বায়ত স্টেডিয়ামে ছড়ানো হবে আলোর রোশনাই। চোখ ধাঁধানো আতশবাজির জন্য উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানটি স্থানীয় সময় রাতে করা হচ্ছে।
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলছে কাতার। সেটাও স্বাগতিক হিসেবে সরাসরি সুযোগ পাওয়ায়। তাদের বিপক্ষে একুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ২২তম আসর। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায়। আগামী ১৮ ডিসেম্বর ফাইনালের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে ফিফা বিশ্বকাপের।
অন্যদিকে আট বছর অনুপস্থিত থাকার পর বিশ্বকাপে ফিরেছে ইকুয়েডর। কাগজে কলমে কাতারের থেকে বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছে ইকুয়েডর। যে কারণে ম্যাচটিতে জয়ের সম্ভাবনায়ও এগিয়ে রয়েছে সফরকারীরা। দক্ষিণ আমেরিকান বাছাইপর্বে কঠিন চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে ইকুয়েডর চতর্থ স্থান লাভ করেছিলো।
স্বাগতিক হিসেবে ঘরের মাঠের বাড়তি সুবিধা পুরোপুরি কাজে লাগাতে কাতারও প্রস্তুত। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে এ পর্যন্ত কোন স্বাগতিক দল পরাজিত হয়নি। ইতিহাস এদিক থেকে কিছুটা হলেও কাতারের পক্ষে রয়েছে।
বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার প্রধান হাসান আল থাওয়াদি জানিয়েছেন, ২০১০ সালে আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ার পর অবকাঠামো খাতে খরচ ২০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
শুধু বিশ্বকাপ আয়োজনের খরচ কত সেটা নিশ্চিত করে বের করতে না পারার কারণ কাতার সরকার ‘কাতার ন্যাশনাল ভিশন ২০৩০’-এর আওতায় অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ আগেই শুরু করেছিল। বিশ্বকাপের দায়িত্ব পাওয়ার পর সেগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আরো আগে বাস্তবায়ন করা হয়। যেমন নতুন মেট্রো ব্যবস্থা চালু, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, নতুন রাস্তা, প্রায় একশ নতুন হোটেল ও অবকাশ যাপনের সুবিধাদি নির্মাণ করা হয়েছে।
বিশ্বকাপ উপলক্ষে সাতটি নতুন স্টেডিয়াম তৈরি করা হয়েছে। সরকার বলছে, এতে সাড়ে ছয় বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। মোট ৮টি স্টেডিয়ামে খেলা হবে। ২৮ লাখ মানুষের দেশে এতগুলো স্টেডিয়ামের প্রয়োজন নেই। তাই বিশ্বকাপ শেষে তিনটি রেখে বাকিগুলো অন্য কাজে ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছে।