কান্নায় ভেঙে পড়লেন প্রদীপ

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে দুষলেন বরখাস্ত ওসি প্রদীপ। বুধবার কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলাকালে প্রদীপ কান্নায় ভেঙে পড়েন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর জানান, এ সময় প্রদীপ আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতকে বলেছেন, টেকনাফের বাহাছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকতই গুলি করে হত্যা করেছেন সিনহাকে। পরে তিনি বিষয়টি আমাকে ফোন করে জানান। আমি নির্দোষ। আমি আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিও দিইনি।
আইনজীবী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আরও বলেন, প্রদীপের দাবির বিষয়ে আদালত আমার বক্তব্য জানতে চাইলে আমি প্রদীপের দাবি যে অসত্য সে বিষয়ে আদালকে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করি।
আলোচিত এ মামলায় রায় ঘোষণা করা হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি। ওইদিন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল এ রায় ঘোষণা করবেন। বুধবার বেলা সোয়া ১টার দিকে চর্তুথ দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন রাষ্ট্রপেক্ষের কৌঁসুলি ফরিদুল আলম।
এদিকে আসামি প্রদীপ কুমার দাশকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার পাওয়ার প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন তার আইনজীবী রানা দাশ গুপ্ত।
বুধবার সকাল সোয়া ১০ টায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈলের আদালতে আসামি প্রদীপের আইনজীবীর অসমাপ্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মধ্যদিয়ে চতুর্থ দিনের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। শেষ হয় বেলা ১২টার দিকে।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় প্রিজনভ্যানে করে মামলার ১৫ আসামিকে কক্সবাজার কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। মামলার বিচারিক কার্যক্রমে ৮ দফায় গত ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন এবং তাদের জেরা শেষ হয়েছে।
সাক্ষ্যগ্রহণ এবং জেরা সম্পন্ন হওয়ার পর কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় আসামিদের বক্তব্য গ্রহণ করেছিলেন আদালত। একইসাথে ৯ জানুয়ারি থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য্য করেছিলেন আদালত।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা দায়ের করে।