তারেক রহমান দেশে আসলে গণপিটুনির শিকার হবেন

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, তারেক রহমান দেশে আসলে গণপিটুনির শিকার হবেন।
শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শেখ সেলিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর কারণে যারা মেজর থেকে মেজর জেনারেল হয়েছেন তারাই বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা জিয়াউর রহমান ও খালেদ মোশাররফের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। জেনারেল সফিউল্লাহ জীবিত থাকলেও জীবন্মৃত, মানুষ তাকে ঘৃণা করে। তারেক রহমান দেশে আসলে গণপিটুনির শিকার হবেন।
তিনি বলেন, আমরা লন্ডন সরকারকে বলেছি তারেক রহমানকে আমাদের কাছে দাও। কিন্তু তারা দিচ্ছে না। সে এখন দেশে এলে গণপিটুনিতে মারা যাবে। এ দেশের টাকা পাচার করায় ৩৭ বছরের জেল হয়েছে তারেকের। দেশে এলে ৩৭ বছরের জেল খাটার ব্যবস্থা করে দেব।
সম্মেলনে উদ্বোধকের বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ফরিদপুরে আজ টাকা উড়ছে, মির্জা ফখরুল কাকে কাকে মনোনয়ন দেবে, কাকে মন্ত্রী বানাবে এসব কথা বলে বস্তায় বস্তায় টাকা নিচ্ছে। তারেক রহমান বস্তায় বস্তায় টাকা সুইস ব্যাংকে পাঠিয়েছে। এফবিআই এ ব্যাপারে সাক্ষ্য দিয়েছে। এবার ডিসেম্বরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তাদের এই বাণিজ্যের বিরুদ্ধে খেলা হবে, খেলা হবে আন্দোলনে, খেলা হবে নির্বাচনে। বিএনপি ফাউল করলে তাদের লাল কার্ড দেখাবে জনগণ।
এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আব্দুস সবুর, কেন্দ্রীয় সদস্য পারভীন সুলতানা কল্পনা ও ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম (অব.)।
সম্মেলনে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন অ্যারোমা দত্ত, এবাদুল করিম বুলবুল, বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবীর, যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও, বিজয়নগর উপজেলা চেয়ারম্যান নাসিমা মুকাঈ আলী, নবীনগর পৌর মেয়র অ্যাড. শিবশংকর দাস, নাসিরনগর উপজেলা চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন প্রমুখ।
সম্মেলনের শেষ দিকে শেখ ফজলুল করিম সেলিম যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে সভাপতি, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারকে সাধারণ সম্পাদক, সাবেক মেয়র হেলাল উদ্দিনকে ১ নম্বর সহসভাপতি, মো.হেলাল উদ্দিনকে সহসভাপতি ও মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুকে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নাম ঘোষণা করেন।
এ সময় তিনি বলেন, ঘোষিত পাঁচ নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনকে নিয়ে আগামী এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবেন।
দীর্ঘ আট বছর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শনিবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুর আড়াইটার পর শুরু হলেও সকাল ১১টা থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী বাদ্য-বাজনা, ব্যানার ফেস্টুনসহ সম্মেলনে আসেন। দুপুর ২টার মধ্যেই পুরো স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। সম্মেলন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়।