কাবুলে সামরিক হাসপাতালে হামলা, নিহত ১৯

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে দেশটির বৃহত্তম সামরিক হাসপাতালে দুটি বিস্ফোরণ ও গোলাগুলিতে অন্তত ১৯ জন নিহত এবং ৪৩ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ক্বারি সাঈদ খোস্তি জানিয়েছেন, ৪০০ শয্যা বিশিষ্ট সরদার মোহাম্মদ দাউদ খান হাসপাতালের প্রবেশপথে বিস্ফোরণগুলো ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে কেউ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে তালেবানদের সরকারী বার্তা সংস্থা বাখতার প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বলেছে যে, বেশ কিছু ইসলামিক স্টেট (আইএস) যোদ্ধা হাসপাতালে প্রবেশ করে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
গত ১৫ আগস্ট পশ্চিমা-সমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে তালেবানরা তাদের বিজয় সম্পন্ন করার পর থেকেই ইসলামিক স্টেট হামলা ও হত্যাকাণ্ড শুরু করে।
তালেবানরা ক্ষমতা দখলের পর থেকেই মসজিদ এবং অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে ধারাবাহিক ভাবে হামলা চালিয়ে আসছে আইএস জঙ্গীরা।
এর আগে ২০১৭ সালে ৪০০ শয্যার এই হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ৩০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছিল আইএস। এটি আফগানিস্তানের সর্ববৃহৎ সামরিক হাসপাতাল।
হাসপাতালের একজন স্বাস্থ্যকর্মী, যিনি ঘটনাস্থল থেকে পালাতে সক্ষম হয়েছেন, তিনি বলেছেন যে, তিনি একটি বড় বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন এবং কয়েক মিনিট ধরে বন্দুকের গুলির শব্দ শুনেছেন। প্রায় দশ মিনিট পরে আরেকটি বড় বিস্ফোরণ হয়।
গত মাসে পরপর দুই শুক্রবার জুমার নামাজের সময় দুটি শিয়া মসজিদে হামলা চালিয়েছে আইএস। এতে প্রায় ১০০ জন নিহত ও কয়েকশ শিয়া মুসলিম আহত হয়েছেন।
গত ২১ অক্টোবর রাতে আইএসের হামলায় বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল। এতে অন্ধকারে ডুবে যায় গোটা শহর।
বিদ্যুতের জন্য আফগানিস্তান মূলত উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিবেশী উজবেকিস্তান ও তাজিকিস্তানের ওপর নির্ভরশীল। ফলে আন্তঃদেশীয় বৈদ্যুতিক লাইনগুলো বিদ্রোহীদের কাছে অন্যতম প্রধান লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বিবেচিত হয়।
বিগত ২০ বছর মার্কিন-সমর্থিত আফগান সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় এ ধরনের স্থাপনাগুলোতে নিয়মিত হামলা চালিয়েছিল তালেবানরাও। এখন সেই একই কৌশলে তালেবানকে কাবু করতে চাইছে আইএস।