সাংসদ টিপুর বিরুদ্ধে একাধিক লঞ্চঘাট ইজারা নেওয়ার অভিযোগ

বরিশালের (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনের সাংসদ গোলাম কিবরিয়া টিপুর বিরুদ্ধে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে লঞ্চঘাট ইজারা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সংসদ সদস্যদের ইজারা নেওয়ার বিধান না থাকায় ছদ্মনামে তিনি ১০১২টি লঞ্চঘাট ইজারা নিয়েছেন।
বুধবার দুপুরে বলিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি কাযালয় এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন লঞ্চ ঘাট ইজারাদার ও গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরদার মনিরুজ্জামার মনির।
লিখিত বক্তব্যে সরদার মনিরুজ্জামার মনির বলেন, তিনি ঢাকা-বরিশাল ভায়া নন্দীবাজার, ঢাকা- টরকি, সুর্যমনি, মাদারীপুর, মুলাদীসহ ১৮টি লঞ্চ সময় সুচী অনুমোদন নিয়ে যাত্রী সেবা দিয়ে আসছেন। কিন্তু হঠাৎ করে বরিশাল-৩ আসনের এমপি গোলাম কিবরিয়া টিপুর ক্ষমতার প্রভাব ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কতৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও চেয়ারম্যান কমডোর মাহাবুবুল আলমসহ কয়েকজন কর্মকতার যোগসাজসে এমপি টিপুর মালিকানাধীন মেসার্স ফারহান ও মেসার্স আগরপুর নেভীগেশন কোম্পানীকে অনিয়ম ও জালিয়াতির মাধ্যমে সময় সুচীর অনুমোদন দেয়। এ কারণে লঞ্চঘাট ইজারা নেয়া মালিকদের লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হয়। এমনকি এ অবস্থা চলায় ওই এলাকায় হাজার হাজার মানুষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
লিখিত বক্তব্যে মনির এমপি টিপুর রাজনীতির বিতর্কিত কর্মকান্ডের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি অভিযোগ করেন, এমপি টিপু বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আবার জাতীয় পার্টিতে যোগদিয়েছেন। কিন্তু তিনি এখনো বিএনপি জামাতের লোকজন নিয়ে রাজনীতি করেন এবং তাদেরপ পুনবসন করতে কাজ করেন। এমনকি সে আওয়ামী লীগ নিধনে কাজ করেন।
এ ব্যাপারে এমপি গোলাম কিবরিয়া টিপু বলেন, আমি বিআইডব্লিউটিএর সকল নিয়ম মেনে লঞ্চঘাটগুলো পরিচালনা করছি। ঘাট পরিচালনার জন্য অনুমোদন রয়েছে। সরদার মনির আমার কাছে একটি লঞ্চ ভাড়া নিতে আসছিল। তার কাছে ভাড়া না দেয়ার কারণে সে আমার বিরুদ্বে ষড়যন্ত্র করছে।
বাংলাদেশ অভন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটি) এর পরিচালক নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগ মো. আবু জাফর হাওলাদার জানান, এই বিষয়টি তিনি অবগত নন।