কুয়াকাটা হবে একটি নান্দনিক সীবিচ : প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম এমপি বলেছেন, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের জন্য ৯৫০ কোটি টাকার মতো একটি প্রকল্প চলমান প্রকল্প চলমান রয়েছে। আমরা এই সী-বিচটাকে আরো ভালো মানের করতে চাই। এটা হবে একটি নান্দনিক সীবিচ। কক্সবাজার বীচের জন্যও আমাদের প্রকল্প আছে।
বৃহষ্পতিবার বিকেলে সাগরকন্যা কুয়াকাটার সৈকত পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ সরকারের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কর্ণেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। তিনি দক্ষিণাঞ্চলের কথা চিন্তা করেন বলেই পায়রা বন্দর, পদ্মা সেতু হয়েছে। এখানে এখন অনেক বিদেশী আসবে। আমরা এই সী-বিচটাকে আরো ভালো মানের করতে চাই। এটা হবে একটি নান্দনিক সীবিচ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের যারা প্রকৌশলী রয়েছেন তাদের আন্তর্জাতিক মানের সীবিচ তৈরি করার অভিজ্ঞতা নেই। এটার জন্য আমাদের মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীদের নিয়ে নেদারল্যান্ডে পরিদর্শনে গেছেন। তারা সেখানকার সীবিচ দেখে এসেছেন এবং সেই গুণগতমানে কক্সবাজার এবং কুয়াকাটায় কাজ করবো। রাতারাতি কোন কাজ করলে হবে না। আমি একটি প্রকল্প করলাম তারপর একবছর পর ভেঙ্গে গেছে, তখন আপনারাই বলবেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকেরা ঠিকাদারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দুর্নীতি করছে এবং ভেঙ্গে গেছে। এ জায়গাতে তরিঘরি করে কোন কাজ করলে হবে না। আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রকল্প পাশ ও কাজ করতে চাই। নদী শাসনসহ যে কোন কাজে জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন। বিগত সময়ে এখানে যে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিলো, সেগুলোকে লোহা দিয়ে, সাইকেলের চাবি, সিগারেটের আগুন দিয়ে ছিদ্র করে দিয়েছিলো।
তিনি বলেন, গত দেড়বছর ধরে করোনার কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপের সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ এ জায়গা থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি। তবে অন্যান্য দেশের থেকে আমরা এখনো অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী আছি। এগুলো সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. রোকন উদ-দৌলা, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মো. ফজলুর রশিদ, পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম সরকার, তত্তাবোধক প্রকৌশলী মজিবুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন, কুয়াকাটা পৌরসভার সাবেক মেয়ের আ. বারেক মোল্লা প্রমূখ।