খালেদা জিয়া মা-বোনদের পাকিস্তানি ক্যাম্পে তুলে দিয়েছিলেন

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেছেন, খালেদা জিয়া আমাদের মা-বোনদের পাকিস্তানি ক্যাম্পে তুলে দিয়েছিলেন।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় রাজধানীর পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ আয়োজিত ‘শান্তি সমাবেশে’ তিনি এ মন্তব্য করেন ।
সমাবেশে মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর সারা বিশ্ব বিপদগ্রস্ত। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সারা পৃথিবীর মানুষ বুঝে কিন্তু বিএনপি-জামায়াত শক্তি তা বুঝে না। তারা এ ইস্যুকে সামনে এনে বর্তমান সরকারের পতন চায়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার পতন চেয়ে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। ২০১৪-১৫ সালেও এ রকম দাবি তুলে তারা দেশে হরতাল-অবরোধ ডাকে। সেসময় বিএনপি-জামায়াত দেশের ১৬৫ জীবন্ত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ ভালো আছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থেকে হাওয়া ভবন বানিয়ে লুটতরাজ করে হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। বিদেশে পাচার করেছে। ছাত্র সমাজের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন। তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে তাদের ব্যবহার করেছিলেন। দেশের অশান্তি সৃষ্টি করেছিলেন।
নিখিল আরো বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত দেশের শত্রু। তারা স্বাধীনতার শত্রু। একাত্তরে তারা এ দেশের স্বাধীনতা চায়নি। জিয়াউর রহমান সেই পরাজিত শক্তিকে, স্বাধীনতার শত্রু জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া আমাদের মা-বোনদের পাকিস্তানিদের ক্যাম্পে তুলে দিয়েছিলেন। মা-বোনদের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছিলেন। তাদের গাড়িতে এই স্বাধীন দেশের জাতীয় পতাকা উড়েছিল। এরা যখনই আবার ক্ষমতায় আসবে তখনই বাংলাদেশের মানুষ প্রশ্নবিদ্ধ হবে, জঙ্গি হামলার শিকার হবে। বাংলাদেশের মানুষ বিপথগামী হবে। অতএব তাদের ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না।’
সমাবেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানার সভাপতিত্বে সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু, অ্যাডভোকেট ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা।
এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহসভাপতি সোহরাব হোসেন স্বপন, আনোয়ার ইকবাল সান্টু, নাজমুল হোসেন টুটুল, কামাল উদ্দিন খান, আবু সাইদ মোল্যা, আলী আকবর বাবুল, মুরসালিন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাফর আহমেদ রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বকুল, গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু, মাকসুদুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক এমদাদুল হক এমদাদ, অর্থ সম্পাদক ফিরোজ উদ্দিন আহমেদ সায়মন, উপ-দপ্তর সম্পাদক খন্দকার আরিফ-উজ-জামান, উপ-শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক আলতাফ হোসেন, উপ-ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শাহজালাল রিপন, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক- নজরুল ইসলাম, উপ-মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন ফালান।