গলাচিপায় আওয়ামী লীগের ৭ বিদ্রোহী প্রার্থী বহিষ্কার

পটুয়াখালীর গলাচিপায় দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা বেড়েছে। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করতে বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের বহিষ্কার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ১১ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনে গলাচিপায় দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় দলীয় সকল ধরণের পদ হারালেন আওয়ামী লীগের সাত বিদ্রোহী প্রার্থী।
গত ২ নভেম্বর তাদেরকে চিঠি দেওয়া হলেও তার ভ্রুক্ষেপ করেননি এসব বিদ্রোহী প্রার্থীরা। ফলে ৪৮ ঘণ্টা অতিক্রম হওয়ায় বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) থেকেই তারা বহিষ্কার বলে জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক সন্তোষ কুমার দে। ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে দলটি। দলীয় সূত্রে এসব তথ্য জানাগেছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিস সূত্র জানায়, গলাচিপা উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপে ৮টি ইউনিয়নের নির্বাচন আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এসব ইউনিয়নগুলো হলো, গলাচিপার চরকাজল, চরবিশ্বাস, গলাচিপা সদর, পানপট্টি, ডাকুয়া, কলাগাছিয়া, বকুলবাড়িয়া ও গজালিয়া। এর মধ্যে শুধু গলাচিপা সদর ও গজালিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কোন বিদ্রোহী প্রার্থী নেই।
এর আগে প্রথম ধাপে ৪টি ইউপির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের এ নির্বাচনে ৮টির মধ্যে ৬টিতেই আওয়ামী লীগের একাধিক দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। আর এ নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। দলীয় প্রার্থীর বিজয়কে নিশ্চিত করতে বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহŸান জানানো হয়েছিল। কিন্তু বিদ্রোহী প্রার্থীরা নিজেদের অবস্থান থেকে সরে না আসায় তাদেরকে এবার দলীয় সকল ধরণের পদ থেকে বহিষ্কার করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
দল থেকে বহিষ্কার হওয়া এসব বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন, চরকাজল ইউপিতে সাংগঠনিক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিন গাজী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান মোল্লা, চরবিশ্বাস ইউপিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য মো. রাজামিয়া, ডাকুয়া ইউপিতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. মামুন খান, পানপট্টি ইউপিতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মো. মাসুদ রানা, কলাগাছিয়া ইউপিতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মাইনুল ইসলাম সিকদার, বকুলবাড়িয়া ইউপিতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মো. শহিদুল হাওলাদার।
এদিকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের ১৯জন নেতা বিদ্রোহী প্রার্থীদের সমর্থনে নির্বাচন কার্যক্রমে অংশ নেওয়া তাদের বিরুদ্ধেও বৃহস্পতিবার রাতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন দলটির উপজেলা সভাপতি সন্তোষ কুমার দে।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক সন্তোষ কুমার দে বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত উপক্ষো করে যে সকল বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ১৯ জন নেতার তালিকা করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে বৃহষ্পতিবার দলীয় সভায় বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ ১৯ জন বাদেও আরোও অন্য কারো নাম পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।