গাঁজা খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে দুই গুরুপের মধ্যে সংর্ঘষ

গাঁজা খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে দুই গুরুপের মধ্যে সংর্ঘষ

বরিশালের বাবুগঞ্জে এক কিশোরকে জোরপূবর্ক গাঁজা খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে দুই গুরুপের মধ্যে পাল্টাপল্টি সংর্ঘষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হয়েছে। বুধবার ও বৃহম্পতিবার সকালে উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের পূর্ব ভূতেরদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সংর্ঘষের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী ঘটনার আশংকা করছে এলাকাবাসী। এ সংর্ঘষের ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন মোঃ সানি মীর(১৬) মোঃ তামিম মীর(১৭) মোঃ ইমরান মৃধা (৩০) মোঃ সবুজ(২০) মোঃ উজ্জল শরীফ(৩০) মোঃ অনিক শরীফ(৩০)মোঃ রোমান শরীফ(২৮) মোঃ ফরহাদ শরীফ(২৫) মোঃ আনোয়ার(২৬) মোসাঃ সালামা(২৫)।

তাদেও উপজেলা বাহেরচর হাসপাতাল,উজিরপুর হাসপাতাল ও বরিশাল শেবা-চিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,পূর্বভূতেরদিয়া গ্রামের সান্টু শরীফের পুত্র অনিক শরিফ মঙ্গলবার রাতে স্টীমারঘাট বাজার সংলগ্ন একটি উরস শরীফ মাহফিল এলাকায় উজ্জল নামে এক যুবককে জোরপূর্বক গাজা সেবন করায়।

গাঁজা সেবনে উজ্জল অজ্ঞান হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এনিয়ে কয়েক যুবকের সাথে অনিকের কথাকাটির এক পর্যায় অনিক শরীফকে মারধর করা হয়। ওই মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার বিকালে অনিক শরীফ তার দলবল নিয়ে মোঃ সানি,তামিম,ইমরান,উজ্জলকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শেবা-চিম ও উজিরপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী জোট বেঁধে অনিক শরীফ গুরুপের উপর পাল্টা হামলা চালিয়ে ৫জনকে আহত করে। তাদেরকে স্থানীয় বাহেরচর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এঘটনা নিয়ে দুই পক্ষই ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম বেপারীর কাছে বিচার চাওয়ায় কোনো পক্ষ বাবুগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেনি।

এদিকে চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চেয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকা অনিক শরীফ তারদলবল নিয়ে বৃহম্পতিবার সকাল ১১টার দিকে পশ্চিম ভূতেরদিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার নামক স্থানে অবস্থান নেয়। মুজাহার হাওলাদারের পুত্র সবুজ হাওলাদার(২০) উক্ত স্থানে পৌছলে তাকে এলোপাথারিভাবে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।

সবুজকে রক্ষা করতে রিয়াজুল নামক এক যুবক এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করা হয়। সংবাদ পেয়ে বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং সান্টু শরীফের বাড়ি অভিযান চালিয়ে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। বাবুগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন দুই পক্ষের মারধরের ঘটনা কেউ থানায় অভিযোগ করেনি বলে এহেন ঘটনাটি ঘটেছে।

তিনি আরো বলেন এব্যাপারে থানায় অভিযোগ আসলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইউপি চেয়ারম্যান নূরেআলম বেপারী বলেন দুই পক্ষই স্থানীয়ভাবে তার কাছে মীমাংশা চেয়ে ছিল। কিন্তু অনিক শরীফ হাসপাতাল থেকে এসে দলবল নিয়ে নিরীহ এক যুবকের উপর হামলা করায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।