ভাণ্ডারিয়ায় লকডাউনে কঠোর প্রশাসন

ভাণ্ডারিয়ায় লকডাউনে কঠোর প্রশাসন

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় করোনা সংক্রামন ভাইরাস এর দ্বিতীয় ঢেউ মহামারি আকারে রূপ নেয়ায় সারাদেশ ব্যাপি সরকারের দেয়া এক সপ্তাহের লক ডাউনের তৃতীয় দিন শনিবার ভাণ্ডারিয়া বাজারে সাপ্তাহিক হাটের দিনন থাকায় জনসমাগম উদ্বেগ জনক হাড়ে বেড়ে যায়।

এদিকে উপজেলা প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসন,র‍্যাব,সেনাসদস্যদের টহল থাকলেও কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী প্রশাসনের সাথে ইদুর বিড়াল খেলা শুরু করে। তখনই প্রশাসনের তৎপরতা বাড়তে দেখা যায়। স্বাস্থ্য বিধি মানা সহ উপজেলা বাসিকে সুরক্ষায় রাখতে উপজেলা প্রশাসন,স্বাস্থ্য বিভাগ,পৌরসভা,জাতীয় পার্টি-জেপি ও মিরাজুল ইসলাম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে চলছে প্রচারনা মাইকিং। এছাড়াও  নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার ভূমি মো. তৌহিদুল ইসলাম প্রতিদিনের ন্যায় নিজেকেই বাজারে প্রচারনা মাইকিং করতে দেখা গেছে। এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। এছাড়া বাজারের বিভিন্ন ঔষধের দোকানে খোঁজ নিয়ে জানাযায় তাদের কাছে জতো ডাক্তারি প্রেসক্রিপশন আসে তার মধ্যে ৮০ভাগই শর্দি,জ্বর,কাশির।ফার্মেসি গুলোতে নাপা ট্যাবলেট,সিরাপ বা অনুরুপ জাতিয় সকল প্রডাক্টস বন্ধ থাকায় তার সংকট দেখা দিয়েছে। কারন জানতে চাইলে তারা জানান, এম.আরগণ বলেন কোম্পানিতে সাপ্লাই দিতে নাড়ায় তা বন্ধ। এদিকে বিকাশ কেয়ারের নামে সেখানে চলে মোবাইল সামগ্রী বিক্রয়,ফ্লেক্সিলোড।যা সরকারি নির্দেশনায় বন্ধ থাকার কথা।

অন্যদিকে উপজেলা প্রশাসনের জরুরী সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক উপজেলার সকল এলাকার চা,পান,বিড়ি,সিগারেট,খাবার হোটেল বন্ধ রাখার কথা। বাস্তবে সরেজমিনে শুক্রবার বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে,গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ দোকানপাট খোলা। এসকল দোকানে বসে কাস্কবীহিন ৮/১০বশে গল্পগুজবে মেতে আছে। এদের সাথে কৌশলে আলাপকালে তারা জানান,গ্রামে আর আসবে কখন। আসলেও মোড়ে মোড়ে লোক আছে আসছে জানালেই বন্ধ করে দেব। অন্যদিকে ৩জুলাই শনিবারও ভাণ্ডারিয়া দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ৪০জনের মধ্যে ২০জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে ৮জন আইস্লেশনে আছে। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে করোনার প্রথম ঢেউয়ে অন্যান্য স্থানের চেয়ে এ উপজেলার চিত্র ভাল ছিল। কিন্তুু বর্তমানে খুলনা ,চট্রগ্রাম থেকে পণ্যবাহী ট্রাক গুলো অনবরত আসার ফলে ভারতীয় ডেল্টা প্লাস ভেরিয়েন্ট বেশি শনাক্ত হওয়ায় ঝুঁকির সংখ্যা একটু বেশি বলে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ মনে করছে। তবে এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতার্ ডাঃ ননী গোপাল রায় জানান, মানুষ চসেতন হলে এ অবস্থা দ্রুত কমে যাবে। 

ওসি মো. মাসুমর রহমান বিশ্বাস জানান, আমাদের পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ উপজেলার মূল পাঁচটি প্রবেশদ্বারে পুলিশি চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। এছাড়াও বাজার সহ অন্যান্য ইউনিয়নেও টহলরত পুলিশ কাজ করছে।  উপজেলা নিবার্হী অফিসার ও পৌর প্রশাসক সীমা রানী ধর জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক ভাবে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আমরা কাজ করে যাচ্ছি