গুঁড়া দুধেরও পরীক্ষা প্রয়োজন: হাইকোর্ট

গুঁড়া দুধেরও পরীক্ষা প্রয়োজন: হাইকোর্ট
হাইকোর্ট বলেছেন, শুধু পাস্তুরিত তরল দুধ নয়, গুঁড়া দুধও পরীক্ষা করা দরকার। পাশাপাশি বিদেশি গুঁড়া দুধ যেন আমাদের দেশের বাজার দখল করতে না পারে সেদিকেও নজর দিতে হবে। ১০ কোম্পানির পাস্তুরিত দুধে অ্যান্টিবায়োটিক ও সিসা পাওয়ার পর এ বিষয়ে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ নিয়েছেন এমন প্রতিবেদনের ওপর শুনানিকালে সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব অভিমত দেয়। আদালতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ফরিদুল ইসলাম ফরিদ। বিএসটিআই’র পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সরকার এম আর হাসান মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের আইনজীবী আদালতকে জানান, যে ১০ কোম্পানির দুধে ক্ষতিকর উপাদান পাওয়া গেছে সে সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে মামলা দায়ের হয়েছে। এ ছাড়া বিএসটিআই অনুমোদিত ১৫টি দুধের কোম্পানিকে সতর্ককরণ চিঠি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গত কয়েকদিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে ১৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শুনানিকালে হাইকোর্ট বলেন, ‘পাস্তুরিত দুধের উৎপাদন বন্ধ আমাদের লক্ষ্য নয়। আমাদের লক্ষ্য নিরাপদ দুধ। দুধ যেন নিরাপদ হয়। আর বিদেশি গুঁড়া দুধ যেন আমাদের দেশের বাজার দখর করতে না পারে সেদিকেও নজর রাখতে হবে। পাশাপাশি দুধ উৎপাদনে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখতে হবে।’ আদালত বলেন, ‘আমরা এখন শুধু তরল দুধ নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু গুঁড়া দুধে কী আছে তাও আমাদের পরীক্ষা করে দেখতে হবে। আমরা চাই না দেশীয় দুধ বন্ধ হওয়ার কারণে বিদেশি গুঁড়া দুধে বাজার সয়লাব হয়ে যাক।’ গুঁড়া দুধের পরীক্ষার বিষয়ে বিএসটিআইয়ের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে হাইকোর্ট বলে, ‘এটা দেখার দায়িত্ব তো আপনাদেরও। আদালতের কেন এ বিষয়ে আদেশ দিতে হবে? আপনার তো চাইলেই এটা পরীক্ষা করতে পারেন।’ জবাবে বিএসটিআই’র আইনজীবী বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা করতে গেলে সরকার ও ব্যবসায়ীরা প্রশ্ন তুলতে পারে। যদি হাইকোর্ট আদেশ দেন তাহলে প্রশ্ন ওঠার কোনো সুযোগ থাকবে না।’ শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট আগামী ২০ অক্টোবর পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য ধার্য্য রাখেন।