চাঁদাবাজ টেন্ডারবাজ ও মাদক ব্যবসায়ীদের যুবলীগে স্থান হবে না-শেখ ফজলে শামস্ পরশ

চাঁদাবাজ টেন্ডারবাজ ও মাদক ব্যবসায়ীদের যুবলীগে স্থান হবে না-শেখ ফজলে শামস্ পরশ

চাঁদাবাজ টেন্ডারবাজ ও মাদক ব্যবসায়ীদের যুবলীগে স্থান হবে না। তৃনমূল থেকে উঠে আসা বঞ্চিত নেতাদের মূল্যায়ন করার আশ্বাস দিয়েছেন দলের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার সুরক্ষা ও তার অর্জনগুলো রক্ষাই যুবলীগের প্রধান কাজ। 

মঙ্গলবার ২১ ডিসেম্বর বেলা ১২ টায় বরগুনা টাউন হল ময়দানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি ও উদ্বোধন হিসাবে সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

বরগুনা জেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুল আহসান মহারাজের সভাপতিত্বে এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মাইনুল হোসেন খান নিখিল, বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শমভু, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: জাহাঙ্গীর কবীর, সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নাদিরা সুলতানা, চেয়ারম্যানের সহধর্মীনি অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী, যুবলীগের  প্রেসিডিয়াম সদস্য সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার ও বরগুনা জেলা যুবলীগীগের সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন সাবুসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা কর্মিরা।

প্রধান অতিথি বলেন, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে সম্মান এনে দিয়েছেন, তিনি বাংলাদেশকে সফলতা এনে দিয়েছেন। এ সম্মান আমাদের ধরে রাখতে হবে। আমাদের নির্ণয় করতে হবে এবং চিহ্নিত করতে হবে, কী ভাবে আমরা এ বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।
তিনি বলেন, আমাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। মনে রাখবেন, এ দিন দিন নয়, সামনে যে দিন আসছে, তাতে মেধা ও দক্ষতার বিকল্প নেই। আমাদের যেমন রাজপথে লড়াকু সৈনিক দরকার, একই সঙ্গে আমাদের মেধাবী উদ্যোক্তা দরকার, সৃজনশীল প্রতিভার দরকার, আমাদের দক্ষ কারিগর দরকার।

প্রধান অতিথি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য আরও বলেন, বিজয় হবে দেশপ্রেম ভিত্তিক রাজনীতির, বিজয় হবে সততার, বিজয় হবে পরিচ্ছন্ন রাজনীতির। তিনি বলেন, বরগুনা পটুয়াখালী থেকে নতুন অধ্যায়ের সূচনা রচিত হচ্ছে এ সম্মেলনের মাধ্যমে। রাজনীতি মানে মানুষের অধিকার আদায় করা। যখনই কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা গোত্রের অধিকার হরণ হবে, অথবা নিপীড়িত হবে, তখনই যুবলীগ প্রতিবাদী কণ্ঠ হিসেবে ভূমিকা রাখবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমরা শুধু সম্মেলন করতে নয়, রাজনীতির সংস্কৃতির পরিবর্তনের প্রত্যয় নিয়ে আপনাদের কাছে এসেছি। আপনারা জানেন, একটা শুদ্ধি অভিযানের মধ্য দিয়ে আমাদের কমিটি ২০১৯ সালে নির্বাচিত হয়েছিল। আমাদের কমিটিতে এখনও অনেককে জায়গা দিতে পারিনি। আপনারাই মূল্যায়ন করবেন, আমরা মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে পেরেছি কিনা। আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতায় অন্ধকার কাটিয়ে আমরা মানবিক যুবলীগে আবর্তিত হয়ে আলোর দিকে ধাবমান। ভবিষ্যতে যুবলীগ বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে। যারা চাঁদাবাজি করেন, টেন্ডার বাজি করেন, মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তাদের যুবলীগে কোন স্থান হবে না। পরিচ্ছন্ন ত্যাগি অবহেলিত নেতাদের দিয়ে যুবলীগ গঠন করা হবে। তদ্বির টাকায় যুবলীগে স্থান হবে না। আপনারা সাবধান থাকবেন, দল একাধারে ১২ বছর ক্ষমতায়। ত্যাগি নেতারা দলে যায়গা পায় না। অন্যদল থেকে দলের মধ্য ঢুকে সুবিধা নিচ্ছে। মনে রাখবেন ওই সব সুবিধা ভুগিরা দলের দুর্দিনে থাকবে না। তাই আমাদের ত্যাগি বিশ্বস্ত নেতাদের মূল্যায়ন করতে হবে। তিনি ত্যাগী এবং পরীক্ষিত নেতাদের নেতৃত্বে নিয়ে আশার কথা বলেন।

সম্মেলন চলাকালিন সময় বরগুনা জেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুল আহসান মহারাজকে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয়। মহারাজ দীর্ঘ ৩০ বছর যুবলীগের বিভিন্ন পদে ছিলেন। তাকে ক্রেস্ট ও মানপত্র দেওয়া হয়।

এর আগে সভামঞ্চে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন। এ সময় দলের চেয়ারম্যানকে ফুলের পাপড়ি দিয়ে দলের নেতা কর্মিরা বরণ করেন। সন্ধ্যার পূর্বে প্রথম অধিবেশন শেষ হয়েছে। কাউন্সিল অধিবেশন বরগুনা শিল্পকলা একাডেমিতে চলমান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন কমিটি ঘোষনা করা হয়নি।