চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জে রয়েল বাস, আলমসাধু ও পাখিভ্যান ত্রিমুখী সংঘর্ষ

চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জে নৈশকোচের ধাক্কায় ৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৬ জন।
শনিবার (৮-আগস্ট) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এই ঘটনায় চালক ও সহকারি হেলপার পালিয়ে গেলেও ঘাতক বাসটি আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা কাছ থেকে জানা যায়, আজ ভোরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রয়েল এক্সপ্রেসের একটি নৈশকোচ (ঢাকা মেট্রো ব ১৫-২১৬১) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যথাক্রমে একটি পাখিভ্যান, আলমসাধু (শ্যালো ইঞ্জিন চালিত যান) ও একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই ৩ জন মারা যান। আহত হন আরও ৯ জন। পরে চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে সেখানে মারা যান আরও ৩ জন। নিহতরা হলেন-সদর উপজেলার তিতুদহের তাহাজ্জত হোসেনের ছেলে সোহাগ আলী (২৫),একই গ্রামের রহিম মল্লিকের ছেলে শরিফ উদ্দিন (৩০), পিত্তর আলীর ছেলে রাজু আহমেদ (৪৫),হায়দার আলীর ছেলে কালু (৪০) খাড়াগোদার মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে মিলনে হোসেন (৪০),শ্রী নিতায়ের ছেলে শ্রী ষষ্ঠী (৪২)।
ভয়াবহ দুর্ঘটনা খবর পেয়ে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাসসহ পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা। হাসপাতালে নিহত ও আহতদের খোঁজ খবর নিতে ছুটে আসেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলমসহ প্রশাসনের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা।
চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারি পরিচালক আব্দুস সালাম জানান (সিংক), ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান জানান, ঘাতক বাসটি আটক করে থানায় নেয়া হয়েছে। বাস চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছে।