চ্যাম্পিয়ন মাহমুদউল্লাহ একাদশ

বোলাররা জয়ের ভিত তৈরি করে দিয়েছিলেন। যে শক্ত জমিনে দাঁড়িয়ে ব্যাটসম্যানরাও আলো কাড়লেন। ফাইনালকে একরকম এক তরফা করে নাজমুল একাদশকে হারিয়ে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের শিরোপা জিতে নিল মাহমুদউল্লাহ একাদশ।
রবিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে নাজমুল একাদশকে ৭ উইকেটে হারায় মাহমুদউল্লাহর দল।
লিগ পর্বে দুই দলের দুইবারের মুখোমুখি দেখায় দুটিতেই জিতেছিল নাজমুল একাদশ। ফাইনালে তার মধুর প্রতিশোধ নিয়ে শিরোপা নিজেদের করল মাহমুদউল্লাহ একাদশ।
টস জিতে প্রতিপক্ষকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে ছিল দলটি। সুমন খানে ৫ উইকেট শিকারের দিনে ৪৭.১ ওভারে ১৭৩ রানেই গুটিয়ে যায় নাজমুল একাদশ। জবাব দিতে নেমে লিটন দাস ও ইমরুল কায়েসের ফিফটিতে ২৯.৪ ওভারেই মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মাহমুদউল্লাহ একাদশ।
লিটন সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন। তার ৬৯ বলের ইনিংসে ছিল ১০ চার। ইমরুল কায়েস ৫৫ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেন। ১টি চারের সঙ্গে তিনি হাঁকিয়েছেন ৬ ছক্কা। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ১১ বলে ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। নাজমুল একাদশের পক্ষে নাসুম আহমেদ সর্বাধিক ২ উইকেট নেন।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাইফ হাসানকে ফিরিয়ে উইকেট উৎসবের শুরু করেছিলেন রুবেল হোসেন। এরপর সুমনের তোপ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো নাজমুল একাদশ পারেনি ঘুরে দাঁড়াতে।
স্রোতের বিপরীতে একা লড়াই করে গেছেন ইরফান শুক্কুর। সাত নম্বরে খেলতে নেমেছিলেন। প্রতিপক্ষের নবম শিকার হওয়ার আগে ৭৭ বলে ৭৫ রান করেন তিনি ৮ চার ও ২ ছক্কায়। এ ছাড়া অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ৩২ ও তৌহিদ হৃদয় ২৬ রান করেন।
মাহমুদউল্লাহ একাদশের পক্ষে সুমন খান ছাড়াও পেসার রুবেল হোসেনও যথারীতি ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন। এদিন ৮ ওভার বল করেন ২৭ রান খরচায় ২ উইকেট নেন তিনি। সুমনের বোলিং স্পেল ১০-০-৩৮-৫। ইবাদত হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।
ফাইনালে ম্যাচসেরা হয়েছেন সুমন খান। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় মুশফিকুর রহিম। সেরা ব্যাটসম্যান হয়েছেন ইরফান শুক্কুর। সেরা বোলার রুবেল হোসেন। আর সেরা ফিল্ডার নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক)।