ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের ২০ নেতাকর্মীর জামিন

ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের ২০ নেতাকর্মীর জামিন

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে বাংলাদেশ ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় সংগঠনটির ২০ নেতাকর্মীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রবিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েসের আদালতে শুনানির পর তাদের জামিন মঞ্জুর করা হয়। জামিন শুনানির সময় উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর।

এদিন আদালতের এজলাসে বিচারক আসার আগে রাষ্ট্রপক্ষকে উদ্দেশ করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলতে থাকেন, আপনারা যেভাবেই হোক এই ছাত্রগুলোর জামিন করিয়ে দিয়েন। এরা কোনও দোষ করেনি। তারা শুধু নরেন্দ্র মোদির বিপক্ষে স্লোগান দিয়েছে। সামান্য স্লোগান দেওয়ার কারণে যদি এতদিন তাদের জেল খাটতে হয়, তাহলে এটা কী করে হয়? আপনারা একটু সমর্থন দিয়েন এই ছাত্রদের। তাদের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য হলেও জামিন করিয়ে দিন। তাদের দয়া করে জামিন দিয়ে দেন।

এরপর রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল পাল্টা ডা. জাফরুল্লাহকে জিজ্ঞেস করেন, আপনার কোনও মামলা কিংবা কোনও মামলায় হাজিরা আছে কিনা। তার উত্তরে তিনি বলেন, ‘না, আমার কোনও মামলা নেই। আমি এসেছি আমার ছাত্রদের জন্য। তাদের দয়া করে জামিন দেওয়ার জন্য চেষ্টা করবেন। জামিন না দিলে তারা পরীক্ষা দিতে পারবে না।’

আসামি পক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদারসহ আরও অনেকে জামিনের আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ২০ আসামির জামিন মঞ্জুর করেন।

এরপর আদালতের বিচারক এজলাসে এলে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জামিনের জন্য শুনানি করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তার বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ২০ আসামিকে জামিনের আদেশ দেন।

জামিনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মো. ইউনুস, নাজমুল হাসান, নাহিদুল তারেক, মো. নাইম, আসাদুজ্জামান, আজহারুল ইসলাম, সোহেল মৃধা, মোস্তাক আহমেদ, আজিম হোসেন, মো. রুহুল ইসলাম সোহেল, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জিশান, মো. সোহেল আহমদ, শেখ খায়রুল কবির, সবুজ হোসেন, হোলাম তানভীর, মো. হেমায়েত, ইসমাইল হোসেন, মো. রেজাউল করিম, মুনতাজুল ইসলাম ও কাজী বাহাউদ্দীন মনির।

উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদ জানিয়ে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে চলতি বছর ২৫ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকি এলাকা থেকে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের একটি মিছিল শুরু হয়।

পুলিশের বাধা পেয়ে আন্দোলনকারীরা নুরের নেতৃত্বে মিছিল নিয়ে মতিঝিলের শাপলা চত্বরের দিকে যান। সেখানে পুলিশের সঙ্গে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। এ ঘটনায় ৭ পুলিশ সদস্য আহত হন। শাপলা চত্বরে সেই মিছিল থেকে ৩২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। ওই ঘটনায় একাধিক থানায় কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।