ছাদখোলা বাসে সংবর্ধনা দেওয়া হবে সানজিদাদের

ফাইনালের আগে সানজিদা আক্তারের একটি লেখা ঘুরেছে ভার্চুয়াল দেয়ালে দেয়ালে। হালের শব্দে যাকে বলা হয় ভারাইল। সেখানে আক্ষেপ করে তিনি লিখেছিলেন, ছাদখোলা চ্যাম্পিয়ন বাস লাগবে না। তবুও তারা ট্রফি জিততে চান। সাফজয়ী নারী ফুটবলাররা তাদের কথা রেখেছেন। তাই বাংলাদেশের ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ও নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফি জয়ী বাংলাদেশ ফুটবল দলকে ছাদ খোলা বাসে সংবর্ধনার আয়োজন করেছে।
বিমানবন্দর থেকে বাফুফে ভবন পর্যন্ত ছাদ খোলা বাসে করে সংবর্ধনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
তিনি বলেন, ‘এটা বাংলাদেশের জন্য দারুণ এক গর্বের দিন। তারা বাংলাদেশকে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব এনে দিয়েছে। সানজিদা আক্ষেপ করে বলেছিল যে হয়তো তাদের ছাদখোলা বাসে সংবর্ধনা দেওয়া হবে না। তার আক্ষেপ আমরা ঘোচানোর চেষ্টা করছি।’
বিআরটিসি জানিয়েছে, ৭৫ সিটের ডাবল ডেকার বাসের দুই তলায় ৮ থেকে ১০টি সিট তুলে ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি বিআরটিসির মতিঝিল ডিপোর একটি ডাবল ডেকার বাসের ছাদ কাটা হচ্ছে। একই সঙ্গে বাসের গায়েও বিজয়ীদের স্টিকার লাগানো থাকবে। মঙ্গলবার রাত ৮টার মধ্যেই ছাদখোলা বাসটি প্রস্তুত হবে।
মতিঝিল বাস ডিপোর ম্যানেজার মো. মাসুদ তালুকদার বলেন, বাসটি প্রস্তুত হচ্ছে। ডাবল ডেটার বাসের ছাদ কেটে ফেলাসহ ৮ থেকে ১০টি সিট খুলে ফেলা হয়েছে। এটা ৭৫ সিটের বাস। শুধু দুই তলার আসনগুলো খুলে ফেলা হয়েছে। আশা করি রাত ৮টার মধ্যেই বাসটি প্রস্তুত হবে।
সোমবার সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে থাকে বাংলাদেশ ফুটবল টিমের সানজিদা আখতারের ফেসবুক স্ট্যাটাস।
তিনি লিখেছিলেন, “ছাদখোলা চ্যাম্পিয়ন বাসে ট্রফি নিয়ে না দাঁড়ালেও চলবে, সমাজের টিপ্পনীকে একপাশে রেখে যে মানুষগুলো আমাদের সবুজ ঘাস ছোঁয়াতে সাহায্য করেছে, তাদের জন্য এটি জিততে চাই। আমাদের এই সাফল্য হয়তো আরও নতুন কিছু সাবিনা, কৃষ্ণা, মারিয়া পেতে সাহায্য করবে।”
সন্ধ্যা হতেই ৩-১ গোলে নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলার মেয়েরা।