‘নিত্যপণ্য’ বিবেচনায় সিগারেট কারখানা চালুর অনুমোদন

‘নিত্যপণ্য’ বিবেচনায় সিগারেট কারখানা চালুর অনুমোদন

তামাকজাতীয় পণ্যকে ‘নিত্যপণ্য’ হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে কয়েকটি কারখানা চালু রাখার অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের তালিকায় রয়েছে বিড়ি-সিগারেট বা তামাকপণ্য। সেই বিবেচনায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বজায় রাখার শর্তে চলমান অচলাবস্থার মধ্যেও জাপান টোবাকো (জেটিআই) এবং ব্রিটিশ-আমেরিকান টোবাকো কোম্পানি (বিএটি) চালু রাখার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

গত ২ এপ্রিল কারখানা চালু রাখতে সরকারের সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করে প্রতিষ্ঠান দুটি।

সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে কোভিড-১৯ এর বিশেষ পরিস্থিতিতে দুই প্রতিষ্ঠানের তামাক পণ্য উৎপাদন, পণ্য পরিবহন, মোড়কীকরণ এবং বাজারজাতকরণে সহযোগিতা করতে স্থানীয় প্রশাসনকে চিঠি লেখে শিল্প মন্ত্রণালয়।

সব জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার বরাবর গত ৩ ও ৪ এপ্রিল ওই চিঠি দেয়া হয়।

চিঠিতে স্বাক্ষরকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোখলেছুর রহমান আকন্দ গণমাধ্যমকে বলেন, স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হলেও তামাকপণ্য বাংলাদেশে নিষিদ্ধ নয়। সরকার যেসব পণ্যকে নিত্যপণ্য হিসেবে বিবেচনা করছে তামাকপণ্য সেই তালিকার অন্তর্ভুক্ত। করোনাভাইরাসের এই সময়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। কারণ ভবিষ্যতে কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে মানুষ এখনই বিভিন্ন রকম উদ্বেগ প্রকাশ করছে। যেসব শিল্প থেকে সরকার সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আহরণ করে তামাকশিল্প তার মধ্যে একটি। এসব বিবেচনায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার শর্তে জাপান টোবাকো এবং বিএটিকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।