জনগণ ভোট দিতে পারলে নৌকা ভোট পাবে না

জনগণ ভোট দিতে পারলে নৌকা ভোট পাবে না
বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণ ভোট দিতে পারলে নৌকা ভোট পাবে না। বর্তমান নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতিত্ব করেছে। অভিলম্বে নতুন কমিশন গঠন করুন। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। বিরোধী দলগুলোকে ডেকে একটি পথ বের করুন। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর। বিকেল তিনটায় বরিশাল নগরের হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগা ময়দানে দলের যুগ্মমহাসচিব ও মহানগর সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ারের সভাপতিত্বে বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রধান অতিথি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্য রাখেন সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায়। দলের মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে হরণ করেছে। সরকারের মামলা-হামলায় দলের নেতা-কর্মীরা জর্জড়িত। অনেক নেতা-কর্মী এখন বাড়ি থাকতে পারছেনা। তারা ঢাকায় রিকশা চালাচ্ছে, হকারি করছে। দলের ২৬ লাখ নেতা-কর্মী মামলার আসামী, ১ হাজারের উপরে গুম হয়েছে, নিহত হয়েছে ২/৩ হাজার। আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সব দিকে চেষ্টা করেছি। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। অবশ্যই এখন ঘুরে দাঁড়াতে হবে। ফখরুল বলেন, আ.লীগ রাস্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে। বাজেটে জনগণের পকেট কেটেছে। ট্যাক্স বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বৃদ্ধি, এমনকি পিয়াজ, কাচামরিচের দামও আকাশচুম্বি হয়েছে। মীর্জা ফখরুল বলেন, দেশে ধর্ষণ, আদালতে হত্যার মত ঘটনা ঘটছে। অন্যদিকে আ.লীগ বড় প্রকল্প করে তাদের উন্নয়ন ঘটাচ্ছে। দুদকের প্রধানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সরল মনে ঘুষ খেলে নাকি সমস্যা নেই। ফখরুল দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে গ্রামে গ্রামে জনগণকে এক্যবদ্ধ করুন। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলনের প্রস্তুতি নিন। খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে সরকারও মুক্তি পাবে না। বিভাগীয় সমাবেশের সভাপতির বক্তব্যে মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, খালেদাকে মুক্তি না দিলে বরিশালবাসী আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। বরিশাল থেকেই খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন শুরু হল। তবে আন্দোলনের স্টাইল পরিবর্তন করতে হবে। মান্দাতা আমলের মানববন্ধন, সমাবেশ দিয়ে চেয়ারপার্সনকে মুক্ত করা যাবে না। আমাদের কঠিন কর্মসুচীতে নামতে হবে। দলের নবনিযুক্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান সমাবেশে বলেন, বরিশালবাসী হারতে জানে না, সংগ্রাম করতে জানে। আন্দোলণ শুরু হলে সরকার পালানোর পথ পাবে না। স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, এ সরকার জনগণের অধিকার হরন করছে। অধিকার আদায়ের জন্য সকলকে দুর্বার আন্দোলনের জন্য জেগে উঠতে হবে। অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর (বীর উত্তম), মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব:) অলতাফ মাহমুদ চৌধুরী, অ্যাড. জয়নাল আবেদীন, কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম মোশারফ হোসেন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসর রহমান, মাহবুবুল হক নান্নু, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি এবায়দুল হক চান, উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি মেজবাউদ্দিন ফরহাদ, কেন্দ্রীয় নেতা হাফিজ ইব্রাহিম, সাবেক এমপি আবুল হোসেন, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, ছাত্র নেতা হাসান মামুন, হায়দার আলী লেলিন প্রমূখ।