জার্সিতে ফ্যাশন, জার্সিতে সমর্থন

জার্সিতে ফ্যাশন, জার্সিতে সমর্থন
ইংল্যান্ডে বসেছেস বিশ্বকাপ ক্রিকেটের বড় আসর বিশ্বকাপ ক্রিকেট। চার-ছক্কার গল্প সবখানে। উত্তেজনাই অন্যরকম। ফ্যাশন সচেতন তরুণদের কাছে এখন জার্সি হয়ে উঠেছে ফ্যাশনের অন্যতম অনুষঙ্গ। বিশ^কাপ শুরুর আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছে অনেকে। প্রিয় দল বাংলাদেশের জার্সি সংগ্রহ করেছে ঈদের আগেই। ঈদ আনন্দের দিনেও লাল-সবুজের জার্সি গায়ে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে বেড়িয়েছেন অনেক তরুণ। বাসায় টিভি সেটের সামনে বা কোনো খোলা মাঠে বড় পর্দায় সবার সঙ্গে খেলা দেখার সময়ও অনেকের গায়েও ছিল টাইগারদের জার্সি। রাস্তাঘাটে, অলিগলিতে, ক্যাফে বা সোশ্যাল নেটওয়ার্কে মাশরাফী, সাকিব, তামিম রঙিন হচ্ছে জার্সিতে। জার্সিগুলো পলিয়েস্টার কাপড়ে তৈরি হয়ে থাকে যেগুলো বেশ আরামদায়ক, এছাড়া খেলোয়াড়রা খেলার সময় পড়ে গেলে শরীরের কোথাও কেটে যাওয়ার বা ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। জার্সির পেছনের দিকে খেলোয়াড়ের নাম ও নম্বর দেওয়া থাকে। প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্য আলাদা আলাদা নম্বর দেওয়া হয়। আপনার পছন্দের খেলোয়াড়ের নম্বরের জার্সি কিনতে পারেন। জার্সি যেমনটা পাবেন : বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর জার্সিই এখন বেশি বিক্রি হচ্ছে। একই দেশের বা ক্লাবের নানা রঙের জার্সি পাওয়া যায় বাজারে। তাই রংটা বদলেও কিনতে পারেন আপনার পছন্দের দলের জার্সি। ফুলহাতা, হাফহাতা এবং হাতা কাটা তিন ধরনের জার্সি কিনতে পাবেন বাজারে। তবে এর মধ্যে হাফহাতার জার্সিটাই বেশি চলছে। সাধারণত জার্সি তৈরিতে আলাদা কাপড় ব্যবহার করা হয়। জার্সি কাপড় নামেই এটি পরিচিত। অনেক জার্সির দুই পাশেই প্রিন্ট আছে। কেনার আগে গলা বা কলারের দিকটাও দেখে নেওয়া যেতে পারে। জার্সি কিনতে : ফ্যাশন হাউস অঞ্জন’স ও জেন্টল পার্কের শতাধিক আউটলেটে বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশ দলের জার্সি। অনলাইনে ক্রিকশপ বিডি ও জার্সি ফ্রিক বিডিতেও পাওয়া যাচ্ছে। তা ছাড়া ডিমানির অ্যাপ ব্যবহার করেও কেনা যাচ্ছে জার্সি। আর সারা দেশে জার্সি ছড়িয়ে দিতে আলাদাভাবে কাজ করছে রবিন স্পোর্টস। প্রবাসী দর্শকদের কথা ভেবে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে জার্সি বিক্রি করছে স্পোর্টস অ্যান্ড স্পোর্টস। দাম ও কোথায় পাবেন : জার্সির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৫০ টাকা। মূল জার্সির পাশাপাশি অ্যাওয়ে জার্সিসহ অনুশীলন জার্সিও কিনতে পাওয়া যাবে। ফ্যাশন হাউস অঞ্জন’স ও জেন্টল পার্কের প্রায় শতাধিক আউটলেট থেকে বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপের জার্সি কিনতে পারবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এছাড়া সহনশীল দামে বিখ্যাত ক্লাব ও টিমের জার্সি কিনতে হলে গুলিস্তানের বায়তুল মোকাররম মসজিদের পাশে স্পোর্টসের অনেক দোকান আছে। এছাড়াও উত্তরাতে ঐ.গ চষধুধ-এর পাশে যে স্পোর্টস মার্কেট আছে ওখানেও পাবেন। বনানীতেও ঘরশব ্ অফরফধং-এর শোরুমে জার্সি পাবেন কিন্তু দামটা একটু বেশি পড়বে। অ্যাডিডাস, পোলো, পুমা ও নাইকি ব্র্যান্ডের জার্সিগুলো পাওয়া যাচ্ছে বসুন্ধরা সিটি, নিউ মার্কেট, গুলিস্তান স্টেডিয়াম মার্কেট, গুলশান ডিসিসি মার্কেট ১ ও ২-এ। ব্র্যান্ডের জার্সিগুলোর জন্য গুনতে হবে একটু বাড়তি দাম। সেটা ৯শ থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে। এছাড়া আরেকটু বেশি দামে ও ভালো কাপড়ের জার্সি কিনতে হলে পান্থপথ এবং বনানী কামাল আতাতুর্ক এভিনিউতে অবস্থিত ইড়ফু ্ ঝঢ়ড়ৎঃং নির্ভরযোগ্য জায়গা। ঢাকা স্টেডিয়াম মার্কেটে সবচেয়ে কম দামে জার্সি পাওয়া যায়। প্রতিটা জার্সি ৪৫০-৫০০ টাকা চাইবে তবে একটু দামাদামি করলেই আপনি ৪০০ টাকায় পাবেন জার্সিগুলো। আর আপনি যদি জার্সিতে প্লেয়ারের নাম প্রিন্ট করাতে চান তবে আরও ১৫০ টাকা লাগবে। রাজধানীর প্রায় সব এলাকাতেই জার্সি পাওয়া যায়। বসুন্ধরা সিটি, মিরপুর-২-এর এশিয়ান স্কাই শপ সুপার, নিউ মার্কেট, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, গ্লোব শপিং সেন্টার, এলিফ্যান্ট রোড, মোহাম্মদপুরের টোকিও স্কয়ার ও বঙ্গবাজারে পাওয়া যাবে জার্সি। ঢাকায় স্পোর্টস সামগ্রীর দোকানগুলোয় পাওয়া যায় জার্সি। ইচ্ছা করলে আপনার নামও জার্সির পেছনে লিখিয়ে নিতে পারেন। হাফহাতার জার্সির দাম ৭৫০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। ননব্যান্ড ফুলহাতা হলে দাম পড়বে ৭৫০ থেকে দুই হাজার টাকা। হাফহাতা পাওয়া যাবে ৮০০ টাকার মধ্যে এবং ট্রাউজার পাওয়া যাবে ৫৫০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায়।