বরিশালে প্যালেস্টাইন ছাত্রদের মানববন্ধন

ইসরাইলের সঙ্গে বিশ্বের কতিপয় ইসলামী রাষ্ট্রের সম্পর্ক স্থাপনের প্রতিবাদে বরিশালে মানবন্ধন করেছে প্যালেস্টাইন সাধারণ ছাত্র পরিষদ। মানববন্ধন থেকে প্যালেস্টাইন শিক্ষার্থীরা দীর্ঘবছর প্যালেস্টাইনের সঙ্গে বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত রাখায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত প্যালেস্টাইনের শিক্ষার্থীরা ওই মানববন্ধন কর্মসূচি পালনন করে।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নগরের অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে ওই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ডা. ইদ্রিস এফআই, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী হাতিম রাবা, মো. মর্তুজা প্রমুখ। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন।

মানববন্ধনে প্যালেস্টাইন শিক্ষার্থীরা বলেন, প্যালেস্টাইন আমাদের মাতৃভূমি আর প্যালেস্টাইন বিশ্বের সকল মুসলমানদের। কারণ জেরুজালেমে থাকা আল-আকসা মসজিদ মুসলমানদের জন্য তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ। অথচ সেখানে দখলদার ইসরাইল আমাদের লোকদের হত্যা করছে। ভূমি দখল করে নিচ্ছে। ঠিক এমন একটা দেশের সঙ্গে প্যালেস্টাইনের স্বার্থ লঙ্ঘন করে কিছু ইসলামী রাষ্ট্রের সম্পর্ক স্থপানের বিষয়টি নিন্দাজনক। আমরা এই সম্পর্ক স্থাপনকে ধিক্কার জানাই। আমরা ইসলামী রাষ্ট্রের প্রতি ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে বাংলাদেশ আমাদের সঙ্গে আছে বলে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ এক কথায় বিশ্বাসী। ১৯৭১ সাল থেকে প্যালেস্টাইনের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক একইভাবে বজায় রয়েছে। যা ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।

প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন বলেন, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণেই আজ প্যালেস্টাইনের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে এসে পড়াশুনা করছে। বিশেষ করে চিকিৎসা বিজ্ঞানে জ্ঞান অর্জন করে প্যালেস্টাইনের শিক্ষার্থীরা চিকিৎসক হচ্ছেন। তারা দেশে ফিরে গিয়ে সাধারণ ও নির্যাতিত মানুষের সেবা করবে।

প্যালেস্টাইনের সঙ্গে বাংলাদেশ থাকায় আজ প্যালেস্টাইনের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। একই সঙ্গে তারা যে সব মুসলিম দেশ ইসরাইলের সঙ্গে প্রশাসনিক চুক্তি করেছে তাদের ধিক্কার জানাতে, প্রতিবাদ জানাতে।

মানববন্ধনে বিভিন্ন ধরণের প্লাকার্ড, ব্যানার নিয়ে প্যালেস্টাইনের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি স্থানীয় শিক্ষার্থীরাও উপস্থিতি ছিলেন। প্লাকার্ডে দখলদারিত্বে ধীরে ধীরে ছোট হয়ে আসা প্যালেস্টাইনের মানচিত্রের ছবিও দেখানো হয়েছে।