জেলা পরিষদ নির্বাচন:হিজলায় তিন প্রার্থীর মধ্যে দুইজনই বিতর্কিত

জেলা পরিষদ নির্বাচন:হিজলায় তিন প্রার্থীর মধ্যে দুইজনই বিতর্কিত

বরিশাল জেলা পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও সদস্য নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীদের প্রচারণা তুঙ্গে। ইতিমধ্যে চেয়ারম্যানসহ ৫ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হলেও উপজেলা থেকে সদস্য পদ প্রাপ্তিতে প্রার্থীদের প্রচারণামুলক কর্মকান্ডে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। 

ভোটারদের দ্বারে দ্বানে ধরনা দিচ্ছেন প্রার্থীরা। বরিশাল জেলা ১০ টি উপজেলায় ৩৩জন প্রার্থী যাচাই বাছাই শেষে প্রতিক নিয়ে প্রচারনায় নেমে পড়েছে। এদিকে নির্বাচনকে স্বচ্ছ ও সুন্দর ভাবে সম্পন্ন করার লক্ষে নানা নির্দেশনা ও ব্যাবস্থা করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক জসিমউদ্দিন হায়দার।

তারই ধারাবাহিকতায় এবারে জেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে হিজলা উপজেলার ৬ নং ওয়ার্ড থেকে সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছেন তিনজন। যদিও এলাকাবাসীও যোগ্য প্রার্থীই যেন নির্বাচিত হন এমনটাই দাবী করেছেন। জানাযায়, প্রতিদ্বন্দী তিন প্রার্থীর মধ্যে টিউবওয়েল মার্কার প্রার্থী ফারুক সর্দারের ছিল জাতীয় পার্টির সাথে সম্পৃক্ততা এবং সর্বহারা গ্রুপের নেতা। উপজেলায়ও তিনি ইমেজ শুন্য বলে জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

এদিকে আরেক প্রার্থী কাজী কামরুজ্জামান। সদস্য পদে লড়ছেন হাতি প্রতিক নিয়ে। তিনি হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মৃত শাহজাহান কাজীর ছেলে। একসময়ে উপজেলা ছাত্রলীগের খন্ডকালীন আহবায়ক ছিলেন। এই গন্ডিতেই তৎকালীন সময়ে সীমাবদ্ধ ছিলেন। এখন রাজনীতিতেও তেমন পদচারণা তার লক্ষ্য করা যায়না বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তারা জানান, স্বপরিবারে কামরুজ্জামান বরিশাল শহরে বসবাস করেন। স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথেও নেই কোণ সম্পৃক্ততা।

এদিকে জনপ্রিয়, কর্মীবান্ধব সংগঠক ও নির্বাচন ঘিরে প্রকৃত যোগ্য হিসেবে রাজনীতিবীদসহ সচেতন মহলের কাছে বিবেচিত হচ্ছে পন্ডিত শাহাবুদ্দিন আহমেদ। তিনি একজন দক্ষ সংগঠক, ক্রীড়া ও সংস্কৃতসেবী। লড়ছেন তালা প্রতিক নিয়ে। একসময়ে ছিলেন হিজলা ছাত্রলীগের আহবায়ক ও সাবেক বড়জালিয়া ইউপির চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। কৃষকলীগের আহবায়ক ও সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তার হাত ধরে অসংখ্য কর্মী বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আওয়ামী রাজনীতিতে জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে শাহাবুদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। উপজেলার সকলশ্রেণির মানুষের সাথেই রয়েছে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক।

সচেতন মহল ও উপজেলাবাসীর দাবী উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সঠিক প্রার্থী নির্বাচিত করে জেলা পরিষদের সেবা তাদের মাঝে পৌছে দিতে আহব্বান জানান।
জেলার ৭ উপজেলায় ৩৩ জন সাধারন ও সংরক্ষিত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। মোট ভোটার ১২৮৭ টি আগামী ১৭ অক্টোবর ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।