জেলেদের মুখে হাসি, ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালী ইলিশ

মহামারী করোনাভাইরাস ও ৬৫ দিনের সমুদ্রে মৎস্য অবরোধের কারণে কষ্টে জীবন যাপন করছেন সমুদ্র উপকূলীয় জেলেরা।দীর্ঘ দুই মাস নিষেধাজ্ঞার পর সাগরে মাছ ধরা শুরু করেছেন জেলেরা। প্রথমদিকে মাছ না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছিল জেলেরা কিন্তু বর্তমানে জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ। ছোট, মাঝারি ও বড় সাইজের প্রচুর ইলিশ পেয়ে খুশি জেলে, ফিশিং ট্রলার মালিক ও মৎস্য আড়তদাররা। গভীর সমুদ্র থেকে ফেরত আসা ইলিশ বোঝাই ট্রলার নিয়ে এখন ব্যস্ত হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা,আলীপুর-মহিপুরসহ উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন মৎস্য বন্দরের আড়তগুলো।
জেলে আলমগীর হোসেন জানান, ৬৫ দিন অবরোধের পর আবার মাছ ধরতে পেরে আমরা খুশি। প্রচুর ইলিশ ধরা পরতে শুরু করেছে। অনেক বড় বড় ইলিশ ধরা পড়ছে এবং দাম ও ভালো পাওয়া যাচ্ছে।এখন জেলেরা তাদের পরিবার নিয়ে ভালো থাকতে পারবে। মহামারী করোনাভাইরাস ও অবরোধের কারণে পরিবার নিয়ে অনেক কষ্টে সময় কাটিয়েছেন জেলেরা।
কুয়াকাটা মৎস্য আড়তদার বশির হাওলাদার জানান, অবরোধের পর জেলেরা সাগরে যাচ্ছে আর প্রচুর পরিমাণে ইলিশ নিয়ে ফিরছেন। ৭০০-৮০০ গ্রামের প্রতিমণ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২ থেকে ২৪ হাজার টাকায়। আর ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের মাছ বিক্রি হচ্ছে মণপ্রতি ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকায়।৯০০ গ্রামের উপরের প্রতিমণ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ হাজার টাকা দরে।এভাবে মাছ পাওয়া গেলে মাছের সঙ্গে জড়িতরা অনেক ভালো থাকতে পারবে।
আলীপুর-মহিপুর মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি ও লতাচাপলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লা জানান, সাগরে জেলেদের জালে বিভিন্ন সাইজের ইলিশ ধরা পড়ছে। দীর্ঘদিন অবরোধের পর মাছ পাওয়ায় খুশি জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা।এক একটি ট্রলার ২০ থেকে ৫০ মণ ইলিশ নিয়ে ফিরে আসছে। ইলিশ পাওয়ায় কুয়াকাটা, আলীপুর ও মহিপুরের আড়ৎ গুলোতে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ জানান, অবরোধ শেষে জেলেরা আবার সাগরে মাছ শিকারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেন, মূলত দুটি কারণে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। প্রজনন সুবিধায় যাতে মাছ নির্বিঘ্নে ডিম ছাড়তে পারে। আর অপরটি হলো- ছোট মাছকে বড় হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া। যার জন্য বর্তমানে বড় আকারের ইলিশ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে।এবার আমাদের অবরোধ ফলপ্রসূ হয়েছে। আগামীতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।