টাইগারদের হোয়াইটওয়াশের স্বপ্নভঙ্গ

টাইগারদের হোয়াইটওয়াশের স্বপ্নভঙ্গ

টানা দুই ম্যাচ জিতে সিরিজটা আগেই নিজেদের করে নিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর তিন ম্যাচের সিরিজে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু সেটি আর হলো না। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে ৫৯ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে সফরকারীরা।

কার্যত বাংলাদেশের ইনিংসের পরেই তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে ফেলেছেন অনেকেই।

১৯২ রানের মামুলি সংগ্রহের পর বাংলাদেশ যে ম্যাচ জিততে পারে, সেটি বিশ্বাস করেছেন ঠিক কজন? আফগানিস্তানের দুর্দান্ত ব্যাটিং-এ বাংলাদেশ দলের সমর্থকরাও অপেক্ষা করছিলেন, কত দ্রুত শেষ হবে এই ম্যাচ!

প্রথম দুই ম্যাচে সফরকারী আফগানিস্তান খুব একটা সুবিধা করতে না পারলেও তৃতীয় ম্যাচে নিজেদের তুলে ধরল ঠিকভাবেই। বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ রুখতে সক্ষম হয়েছে দেশটি।

স্কোর

বাংলাদেশ- ১৯২ (৪৬.৫)

আফগানিস্তান- ১৯৩/৩ (৪০.১)

এর আগে বেলা ১১ টায় চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলো বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে নেমে বেশ সাবধানী শুরু করেছিলেন তামিম-লিটন দুজনই। পাওয়ার-প্লের ১০ ওভারে কোনো উইকেট হনা হারিয়েই বাংলাদেশ তুলে ফেলে ৪৩ রান। তবে বিপত্তির শুরু এরপরেই। ১১ তম ওভারের প্রথম বলেই ফাজল হক ফারুকির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ২৫ বল ১১ রান তামিম। এই নিয়ে সিরিজের তিন ম্যাচেই ফারুকির বলেই উইকেট দিলেন টাইগার কাপ্তান।

তিনে নামা সাকিব আল হাসান বেশ ভালোই শুরু করেছিলেন। ৩৬ বলে ৩০ রান করা সাকিবকে ফেরান আজমতুল্লাহ। এরপরই দিশেহারা বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। মুশফিক আর ইয়াসির যেন এলেন আর গেলেন।

এদিকে আজও সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে লিটন শেষমেশ ফিরে যান ১১৩ বলে ৮৬ রান করে। ৩৫.৫ ওভারে ১৫৩ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপরের চিত্রটা যেন আরও করুণ। আফিফ, মিরাজ, তাসকিন, শরীফুল বা মুস্তাফিজ কেউই ছুঁতে পারেননি দুই অংকের ঘর। একপাশে মাহমুদুল্লাহ কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সতীর্থদের যাওয়া আসার মিছিলে শেষ পর্যন্ত ৫৩ বলে ২৯ কএ অপরাজিতই থাকেন মাহমুদুল্লাহ। বাংলাদেশ শেষ ৫ উইকেট হারায় ৩৯ রানে। ৪৬.৫ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ১৯২।

আফগানিস্তানের হয়ে ১০ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন রশিদ খান আর ১০ ওভারে ২৯ রানে ২ উইকেট নেন মোহাম্মদ নবী।


পিআর/বিজি