টানা বৃষ্টিতে বরিশালের জনজীবন বিপর্যস্ত

টানা বৃষ্টিতে বরিশালের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অব্যাহত বৃষ্টির কারণে নদ-নদীতে পানি বেড়েছে। এ কারণে প্রতিদিন দুই বেলা জোয়ারের সময় নদ-নদী সংলগ্ন নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। যদিও ভাটির সময় নেমে যাচ্ছে পানি। এদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর এবং নদী বন্দরে জারী করা হয়েছে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত। উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে আগামী ২/১ দিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া বিভাগ।
আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. মিলন হাওলাদার জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি একই অবস্থায় রয়েছে। লঘুচাপের কারণে গতকাল থেকে কখনও মাঝারী আবার কখনও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে দমকা ও ঝড়ো হওয়া বয়ে যাচ্ছে। গত বুধবার বিকেল ৩টা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৩৯ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। গতকাল বিকেল ৩টায় বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ ছিলো ৯৫ ভাগ। আগামী ১/২ দিন এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অব্যাহত বৃষ্টির কারণে বরিশালের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না মানুষ। যারা ঘরের বাইরে বের হয়েছে তারা পড়েছেন বিপাকে। যানবাহন স্বল্পতার কারণে কাক ভেজা হয়ে অনেক মানুষকে রাস্তায় হাটতে দেখা গেছে।
এদিকে লঘুচাপের কারণে সমূদ্র বন্দরে ৩ নম্বর এবং অভ্যন্তরীণ নদী বন্দরে জারী করা হয়েছে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত। অব্যাহত বৃষ্টির কারণে নদ-নদীর পানি বেড়েছে। গতকাল সকাল ৭টায় বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপদসীমার (২ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার) শূন্য দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বিপদসীমা অতিক্রম না করলেও পানি বেড়েছে সকল নদ-নদীতে। এ কারণে জোয়ারের সময় নদী সংলগ্ন নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। প্রতি ২৪ ঘন্টায় দুই বার জোয়ারের সময় ডুবছে নি¤œাঞ্চল। তবে ভাটির সময় পানি নেমে যাচ্ছে।