বরিশালে কঠোর লকডাউন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়াও মানুষ ঘরে নেই

বরিশালে কঠোর লকডাউনের ৭ম দিন অতিবাহিত হয়েছে। অবিরাম বৃষ্টি ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়াও মানুষকে ঘরে আটকে রাখতে পারেনি।
বৃহষ্পতিবারও বরিশালের রাস্তাঘাটে চলাচল করেছে প্রচুর মানুষ এবং যানবাহন। গত ৬ দিন কঠোর বিধি নিষেধের কারণে অটোরিক্সা বন্ধ থাকলেও গতকাল কিছু অটোরিক্সা চলাচল করেছে নগরীতে। বন্ধ রয়েছে নগরীর বেশীরভাগ দোকানপাট। তবে ভ্রাম্যমান আদালত এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ গলে এক শাটার খোলা রেখে কিছু দোকানপাঠ চলেছে। ভ্রাম্যমান আদালত দেখলেই শাটার বন্ধ করে দিচ্ছে তারা। এদিকে লকডাউন এবং স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে গতকালও নগরীতে পৃথক ৩টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন।
কঠোর লকডাউনের ৭ম দিন গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অবিরাম বৃষ্টি হয়েছে বরিশালে। কখনও গুড়ি গুড়ি আবার কখনও মাঝারী বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাস্তায় বেড়িয়েছেন অনেক মানুষ। এদের একাংশ ব্যাংকিং করতে, কেউ বাজারে আবার কেউ হাসপাতাল কেন্দ্রিক প্রয়োজনে রাস্তায় রেব হওয়ার কথা বলেছেন। তবে কিছু মানুষ অপ্রয়োজনে অজুহাত সৃষ্টি করে বেড়িয়েছেন রাস্তায়। মানুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে যানবাহন। গত কয়েক দিন রিক্সা, বাইসাইকেল, মোটর সাইকেল, ব্যক্তিগত যান এবং পন্যবাহী যান ছাড়া অন্যান্য যানবাহন বন্ধ থাকলেও গতকাল বৃহস্পতিবার ৭ম দিনে নগরীতে কিছু ব্যাটারীচালিত রিক্সা চলাচল করতে দেখা গেছে। নগরীর বেশীরভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিল। তবে এক শাটার খোলা রেখে নগরীর চকবাজার ও বাজার রোডসহ বিভিন্ন স্থানে এই মুহূর্তে অপ্রয়োজনীয় দোকানপাট খুলতে দেখা গেছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কিংবা ভ্রাম্যমান আদালতের উপস্থিতি টের পেলেই শাটার আটকে দিচ্ছেন তারা।
সকালের দিকে নগরীর পোর্ট রোড ইলিশ মোকামসহ সবগুলো বাজারে প্রচুর ভীড় দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারগুলো অনেকটা ফাঁকা হয়ে যায়। এদিকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী টহল অব্যাহত রাখলেও তাদের কড়াকড়ি অনেকটা শিথিল হয়ে গেছে।
জেলা প্রশাসন প্রতিদিন নগরীতে পৃথক ৩টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করলেও সার্বিক লকডাউনে তেমন প্রভাব পড়ছে না। ভ্রাম্যমান আদালতগুলো কয়েকটি স্থান ঘুরে নামমাত্র অভিযান পরিচালনা করে ফিরে যাচ্ছেন।