টি-টোয়েন্টিতে থাকছেন না ডোমিঙ্গো

নানান গুঞ্জনের পর এবার সত্যিই আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে রাসেল ডমিঙ্গোকে। এই সময়ে তিনি কাজ করবেন ওয়ানডে ও টেস্ট দল নিয়ে পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটেও নজর দেবেন।
সোমবার (২২ আগস্ট) মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এসব জানান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
তিনি বলেন, রাসেল ডোমিঙ্গো টি-টোয়েন্টিতে থাকবেন না। তিনি থাকবেন টেস্ট ও ওয়ানডেতে।
এসময় আসন্ন এশিয়া কাপে হেড কোচ কে থাকবে? এ প্রসঙ্গে পাপন বলেন, আমাদের টিম ডিরেক্টর আছে। জালাল ভাই থাকছে। আমি থাকছি। আর কী?
পাপন আরও বলেন, হেড কোচ বলতে এখন পর্যন্ত কেউ নেই। এখানটায় আমাদের ব্যাটিং কোচ রয়েছে। আমাদের স্পিন কোচ, পেস বোলিং কোচ, ফিল্ডিং কোচ রয়েছে। আমাদের অধিনায়ক আছে। টি-টোয়েন্টিতে আমাদের টেকনিক্যাল পরামর্শক আছে একজন। সে গেম প্ল্যান দেবে। যদি গেম প্ল্যান সে দেয় তাহলে হেড কোচ করবে কী আর? প্রধান কোচের তো কোনো কাজ থাকে না।
এদিকে ২০২৩-২০২৭ সাল পর্যন্ত এফটিপিতে ১৫০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পেয়েছে বাংলাদেশ। এর বাইরে আইসিসি ইভেন্ট, মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট তো আছেই। ব্যস্ত এফটিপির কারণে বিসিবি কোচিং স্টাফদের পৃথক করার পরিকল্পনা নিয়েছে। সেজন্য ডমিঙ্গোকে টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
বিসিবির এমন পরিকল্পনায় খুশি ডমিঙ্গোও। খোলামনে গণমাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ বলেছেন, আমার পরিকল্পনা মনে ধরেছে। আমি মনে করি, এটা আমাকে টেস্টে এবং পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে আরও মনোযোগী করে তুলবে। টি-টোয়েন্টিতে আমাদের কিছু ভালো ফল আছে। আবার কিছু খারাপ ফলও আছে। আমি মনে করি এটা খুব ভালো দিক যে আমরা নতুন করে আবার টি-টোয়েন্টির যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছি।
তিনি আরও বললেন, আমি খুব খোলা মনের। এটা শুধু আমার একার দল নয়। কিংবা আমাকে নিয়েই সব, এমন কিছু নয়। যেভাবে দলের উন্নতি সম্ভব বলে নীতিনির্ধারকেরা মনে করছেন সেভাবেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি তাদের সেই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছি। এটা আমাকে আরও সুযোগ দিচ্ছে ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করার, পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপ সামনে আসছে। আমাদের টেস্ট ক্রিকেটেও অনেক কাজ বাকি।