ডা. সাবরিনার ভিআইপি কয়েদির মর্যাদার আবেদন নাকচ

জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা হোসেন কারাগারে প্রথম শ্রেণিতে থাকার মর্যাদা চাওয়ার আবেদন নাকচ করেছে আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ আদেশ দেন।
গত ১৭ নভেম্বর সাবরিনার পক্ষে আইনজীবী প্রণব কুমার কান্তি তার প্রথম শ্রেণির কয়েদির মর্যাদা চেয়ে আবেদন করলে আদালত সাবরিনার উপস্থিতিতে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
গত ২০২০ সালের ৩০ আগস্ট ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া। মঙ্গলবার ছিল প্রতিবেদন দাখিলের দিন।
ডিবি পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না করায় আগামী ২২ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত। এ মামলায় সাবরিনা জামিনে আছেন।
মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, সাবরিনার বর্তমান দুটি এনআইডি কার্ড সক্রিয় আছে। সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। তিনি প্রথমে ভোটার হন সাবরিনা শারমিন হোসেন নামে। একটিতে জন্ম তারিখ দেওয়া ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। প্রথমটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন আর এইচ হক। আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী।
গত ১৯ জুলাই করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ আট আসামিকে পৃথক তিন ধারায় ১১ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে এ মামলায় কারাগারে রয়েছেন সাবরিনা।