পটুয়াখালীতে লঞ্চ রোটেশনের কারনেই ভোগান্তির শিকার যাত্রী

পটুয়াখালীতে করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ সংক্রমন প্রতিরোধে ৬৬ দিন লকডাউনের পর লকডাউন শিথিল হওয়ায় ঢাকা ফেরা শত শত যাত্রীরা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে।
কোভিড-১৯ সংক্রমন প্রতিরোধে ৬৬ দিন লকডাউনের পর সরকার লকডাউন তুলে নিয়ে স্বাস্থ্যবিধিসহ বিভিন্ন শর্তসাপেক্ষে গণ পরিবহনসহ নৌযান চলাচলের নির্দেশে ৩১ মে রবিবার সন্ধ্যায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দুরত্ব মেনে সুন্দরবন-৮, এ আর খান-১ ও রাসেল-৮ নাম কতিন দ্বিতল লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
লকডাউন উঠিয়ে নেয়ার দ্বিতীয় দিন ০১ জুন সোমবার মাত্র দুটি লঞ্চ থাকায় ঢাকার উদ্দেশ্যে আসা দূর দুরান্ত থেকে শত শত যাত্রী সাধারন স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব রক্ষায় প্রশাসনের কঠোর নজরদারীতে ঢাকায় যেতেনা পারায় যাত্রী সাধারন ভোগান্তি ও বঞ্চনার শিকারহন।
উল্লেখ্য, পটুয়াখালী - ঢাকা এবং ঢাকা-পটুয়াখালী নৌ-রুটে প্রতিদিন পাঁচটি লঞ্চের রুট পারমিট থাকলেও লঞ্চ মালিকদের রোটেশনের কারনে মাত্র দুটি লঞ্চ চলাচাল করছে। যাত্রী সাধারনের দাবী পাঁচটি লঞ্চ চলাচল করলে স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দুরত্ব যেমন রক্ষা হতো তেমনিতাদের এ ভোগান্তির শিকার হতে হতোনা। সরকারের কাছে ভুক্তভোগী যাত্রীদের দাবী উক্ত রুটে পারমিট কৃত পাঁচটি লঞ্চ চলাচলের ব্যবস্থা করে যাত্রী সাধারনকে ভোগান্তি ও দুর্ভোগ থেকে রক্ষা করা হোক।
এ পাঁচটি লঞ্চ চলাচল করলে স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দুরত্ব যেমন রক্ষা পাবে,তেমনি মরনব্যাধি করোনা ভাইরাসের সংক্রমন থেকেও মানুষ রক্ষা পাবে। বিষয়টি সুনজরে দেখার জন্য সরকার প্রধানের কাছে জোর দাবী করেছেন লঞ্চঘাটে বিড়ম্বনার শিকার হাজারো যাত্রীদের।