ইরানের প্রেসিডেন্টের আঞ্চলিক অবস্থান ও নিরাপত্তা শক্তিশালী রাখার ঘোষণা

ইরানের প্রেসিডেন্টের আঞ্চলিক অবস্থান ও নিরাপত্তা শক্তিশালী রাখার ঘোষণা

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান দাবি করেছেন, গত এক বছরে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের আঞ্চলিক অবস্থান দুর্বল হয়নি। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) টাইমস অব ইসরাইলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সিরিয়ায় ইরান-সমর্থিত আসাদ সরকারের পতন এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ ও গাজার হামাসের ওপর ইসরাইলের সামরিক আঘাত ইরানের জন্য বড় ধাক্কা। বিশেষ করে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া, ইয়াহিয়া সিনওয়ার এবং হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর মতো মিত্রদের হারানোকে বড় ক্ষতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। এছাড়া ইসরাইলি বিমান হামলা প্রতিহত করতে ব্যর্থ হওয়ায় ইরান আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়েছে।

তবুও, পেজেশকিয়ান বলেছেন, "গত বছরের তুলনায় ইরান এখন আরও একত্রিত, আরও শক্তিশালী এবং মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের উপস্থিতি আরও দৃঢ়। আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এখন আগের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে।"

পেজেশকিয়ান বলেছেন, "যদি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে আক্রমণ চালানো হয়, তাহলে আমরা আত্মরক্ষায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আমরা যুদ্ধকে ভয় করি না, তবে যুদ্ধ শুরু করার পক্ষেও নই। এর পরিণতি সব পক্ষের জন্য ক্ষতিকর হবে।"

তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেন, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে না। এ ধরনের অভিযোগকে তিনি "পূর্ব পরিকল্পিত অজুহাত তৈরির প্রচেষ্টা" বলে অভিহিত করেছেন।

২০২০ সালে মার্কিন বিমান হামলায় কুদস বাহিনীর জেনারেল কাসেম সোলেইমানি নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে।

পেজেশকিয়ান বলেন, "ইরান কখনোই সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার পরিকল্পনা করেনি।"

ইরানের প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্য আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে দেশটির শক্তি ও অবস্থান নিয়ে একটি শক্ত বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।