ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের অর্ধেকেরও বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে

ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের অর্ধেকেরও বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া বলেছেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের অর্ধেকেরও বেশি মানুষকে কোভিড টিকার আওতায় আনা হবে। এ জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা আনা হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে দেশেই কোভিড টিকা উৎপাদন হবে।
সম্মিলিত কোভিড ব্যবস্থাপনা ‘বরিশাল মডেল’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

শনিবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বরিশাল শিল্পকলা একাডেমি অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত সেমিনারে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব। 

বরিশালের বিভাগীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে এবং ইউনিসেফের সহযোগিতায় ওই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি আরও বলেন, আমাদের জনবল সল্পতা এবং নানা সীমাবদ্ধতা আছে একথা ঠিক। কিন্তু আন্তরিকতা থাকলে বর্তমান অবকাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আরও বেশি মানুষকে সেবা দেওয়া সম্ভব। ডিসেম্বরের মধ্যে অর্ধেকের বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে। এ লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা আনা হচ্ছে। বিশেষ করে টিকা কেনায় চীন বাংলাদেশের উপর বেশ খুশী।   

তিনি বলেন, বাংলাদেশ কোভিড ম্যানেজমেন্টে বিশ্বের অনেক দেশ থেকে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ নিজেরাই টিকা উৎপাদন করবে। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে চুক্তি সাক্ষর হয়ে গেছে। ইডিসিএল’র মাধ্যমে গোপালগঞ্জে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় টিকা উৎপাদন হবে। আমাদের যে সক্ষমতা আছে আন্তরিকতা থাকলে সেটা দিয়েই আরও বেশি মানুষকে সেবা দেয়া সম্ভব। 

সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বশির আহমেদ, ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান, স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক এমডি আবদুস সালাম, ইউনিসেফের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান সানজানা ভার্দওয়াজ।  

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, বিভাগের ৬ জেলার প্রশাসক, সিভিল সার্জন, ইউএনও, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, এনজিও সংগঠক এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।