ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে বিএনপি নেতা রিজভী,‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’ গঠন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে বিএনপি নেতা রিজভী,‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’ গঠন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদাদলের নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলামের আমন্ত্রণে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ আরও কয়েকজন নেতার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে অবস্থান নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এর জেরে ক্লাবের কার্যকর পরিষদের সভায় অধ্যাপক ওবায়দুল ইসলামকে ঘটনার ব্যাখ্যা জানাতে বলা হয়েছে এবং ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।

কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগপন্থী নীল দল মনোনীত সিনেট সদস্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রহিম। 

তিনি বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ক্লাবের কার্যকর পরিষদ জরুরি সভায় মিলিত হয়েছিল। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যেহেতু এক ধরনের বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তাই প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটনের জন্য অধ্যাপক সিতেশ চন্দ্র বাছারকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এর আগে গত রবিবার (১৯ জুন) রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী তার স্ত্রীসহ আরও কয়েকজনকে নিয়ে ঢাবি ক্লাবে যান। সেখানে তিনি রাত একটা পর্যন্ত অবস্থান করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ওবায়দুল ইসলামের দাওয়াতে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন বলে জানা যায়।

গণমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী সমর্থক অনেকে রুহুল কবির রিজভীর ক্লাবে অবস্থানের উদ্দেশ্য নিয়ে সরব হন। বেশ কিছু গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশিত হয়।

তবে, বিষয়টিকে রাজনৈতিক দিকে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক ওবায়দুল ইসলাম। তিনি বলেন, ক্লাবের সদস্যদের কাছে যে কেউ আসতে পারেন। আসলেই যে তা ষড়যন্ত্র হয়ে যাবে, তা জানা ছিল না। সেদিন কোনো মিটিং ছিল না, শুধুমাত্র খাওয়া-দাওয়া হয়েছে। রিজভী সাহেবের মত লোক আসলে তার সাথে পাঁচজন লোকে এমনিতেই আসে। সেখানে আমি ছাড়া আরও কয়েকজন ছিলেন। এটাকে যদি কেউ অন্যদিকে প্রবাহিত করে তাহলে আমার কিছু বলার নেই। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে বসতে হয় না। ক্লাব মুক্ত জায়গা। এখানে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে, লোকজনের আনাগোনা আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে ষড়যন্ত্র করার প্রয়োজন পড়ে না।