ইলিশ মাছ বিদেশে রপ্তানি করা হবে না: মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী রেজাউল করীম

মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করীম বলেছেন, বাংলাদেশের প্রাণী সম্পদ ক্ষাতে উৎপাদন অনেক বেড়েছে। এ কারণে গত বছর ও এবছর ভারত এবং মায়ানমার থেকে কোন প্রাণী আমদানী করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। দেশের ইলিশ মাছ বিদেশে রপ্তানী করা হবে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্টের আয়োজনে বরিশাল সাংবাদিক ইউনিয়ন(জেইউবি) এর সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ.ম. রেজাউল করীম।
এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা লক্ষ রাখছি যাতে আমাদের এখানকার উৎপাদকরা তাদের উৎপাদিত প্রাণি বিক্রি করতে পারে। করোনা ভয়াবহ প্রভাবে যখন সমগ্র বিশ্বে সমস্যা তখন বাংলাদেশে কোরবানির পরিমান কমে যাবে এটা খুবই স্বাভাবিক। এ পরিস্থিতি কিন্তু সরকারের সৃষ্টি নয়। এটা প্রাকৃতিক একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি। তারপরও ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়ে আমারা বিবেচনা রেখেছি। আমারা কোরবানি পরবর্তী সময়ে কে কতটা বিক্রি করতে পারলেন তারা আর্থিকভাবে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন এ বিষয়টাকে বিবেচনায় নিয়ে কিভাবে তাদের সহযোগিতা করা যায় সেটা দেখা হচ্ছে।
ইলিশ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এখন ইলিশের ভরা মৌসুম না। আমাদের ভুল ধারণা। ইলিশের ভরা মৌসুম শুরু হবে আগস্টের শেষের দিকে। এখন পর্যন্ত ভরা মৌসুম না হওয়ায় ভোলা, বরিশাল চাদপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় ইলিশ বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। ভরা মৌসুম আসলে ইলিশের দাম কমে যাবে। আমারা ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাংলাদেশ থেকে কোন ইলিশ মাছ বিদেশে রপ্তানি করা হবে না। এ মাছ শরীরে আমিষ ও পুষ্টির চাহিদা মেটায়। ইলিশ মাছ আমাদের দেশের মানুষ যাতে প্রাণভরে খেতে পারে আমারা সে উদ্যোগ রেখেছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাচ্ছি মাছ চাষের মধ্য থেকে দেশে উদ্যোক্তা সৃষ্টি হোক। মাছ চাষের মধ্য দিয়ে তারা নিজেদের অভাব দূর করবে এবং দেশের চাহিদা মেটাবে। মাৎস্য ক্ষেত্রে যারা কাজ করবে তাদের আমরা সহজ শর্তে ঋণ দেবো, প্রয়োজনে তাদের মাছের খাবারে আমরা ভর্তুকি দিব। তাদেরকে অন্যান্য যে কারিগরি সাপোর্ট লাগে তা দেবো। সব মিলিয়ে মৎস্য খাতকে উজ্জীবীত করার জন্য খামারি, বিপননকারী, রপ্তানি কারকদের জন্য আমরা অভাবনীয় সুযোগ রাখা হয়েছে। যারা আগ্রহী তারা এগিয়ে আসলে আমাদর মন্ত্রনালয়, মৎস্য অফিস তাদের সর্বোচ্চো সহায়তা করবে।
সাংবাদিকদের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই বস্তুনিষ্ট সংবাদের বিকাশ ঘটুক। আমরা চাই সংবাদ মাধ্যমকে যেন প্রকৃত সাংবাদিকদের কল্যাণে ব্যবহার করা হয়। কোনভাবেই যেন সাংবাদিকরা মালিক পক্ষের অথবা অন্য কোন পক্ষের দ্বারা অবিচারের শিকারে পরিণত না হন। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা বারবার আহবান জানাচ্ছি, এ ক্রান্তি কালিন সময়ে কোন সাংবাদিককে যেন ছাটাই করা না হয়। তাদের বেতন ভাতা দেওয়া, ওয়েজবোর্ড যাতে বাস্তবায়ন করা হয়। সেক্ষেত্রে যদি প্রয়োজন হয় আর্থিকভাবে সরকারও সহযোগিতা করবে। সংবাদ মাধ্যমকে টিকিয়ে রাখতে চাই দেশের স্বার্থে। সংবাদ মাধ্যম এ রাষ্ট্রের অন্যতম স্তম্ভ। এ জন্য সাংবাদিক ও সংবাদ মাধ্যমকে আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখছি।