ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪০ মিনিটে করোনা ভাইরাস শনাক্ত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪০ মিনিটে করোনা ভাইরাস শনাক্ত

বিশ্বব্যাপী ধ্বংসযজ্ঞ চালানো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ৩০-৪০ মিনিটে শনাক্ত করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জেবা ইসলাম সেরাজের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট গবেষকরা করোনাভাইরাসের স্যাম্পল পরীক্ষা করে ভাইরাসটি সফলভাবে শনাক্ত করেছেন। 

দ্রুত করণের এই পদ্ধতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিলে দেশে ব্যাপকহারে টেস্ট ও উপজেলা পর্যায়ে তা বিস্তারের সুযোগ সৃষ্টি হবে।  এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. জেবা ইসলাম সেরাজ বলেন, 'বিদ্যমান পদ্ধতিতে করোনাভাইরাস টেস্টের ফলাফল ২৪ ঘন্টার আগে দেওয়া যায় না। কিন্তু আমাদের পদ্ধতিতে ৪০ মিনিটেই ফলাফল জানানো সম্ভব'। 

আজ রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে ভাইরাসটি সফলভাবে শনাক্ত করণের বিষয়ে জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষার প্রক্রিয়ার বিষয়ে বলা হয়,  শনাক্ত করণে তারা (গবেষকরা) র‌্যাপিড কলোরোমেট্রিক টেস্টের প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছেন, যেটি আরটি-ল্যাম্প টেস্ট কিট নামে বহুল প্রচলিত। সনাক্তকরণ প্রক্রিয়াটি একটি সাধারন ইনকিউবেটর বা তাপ নিয়ন্ত্রন যন্ত্র ব্যবহার করে মাত্র ৩০-৪০ মিনিটে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ স্যাম্পলের ক্ষেত্রে হলুদ এবং নেগেটিভ স্যাম্পলের ক্ষেত্রে গোলাপি রঙ প্রদর্শন করে।

এই আরটি ল্যাম্প টেস্ট পরীক্ষা পদ্ধতি কোভিড-১৯ রোগীদের দ্রুত শনাক্তকরণ এবং তাদের দ্রুত পৃথকীকরণ করতে সাহায্য করে। এটি অত্যন্ত সহজ একটি ডায়াগনসিস পদ্ধতি যা দেশের প্রবেশ পথগুলোতে এবং উপজেলা পর্যায়ে খুব সহজেই প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব। 

ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ এবং বায়োটেক কনসার্ন যৌথভাবে বিএসএমএমইউ তে  এই পরীক্ষাটির কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছে। পরবর্তীতে ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন বোর্ডে অনুমতির জন্য আবেদন করা হবে।

উল্লেখ্য, এই কিটটি আমেরিকান মলিকিউলার বায়োলজি রিএজেন্ট এবং কিট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নিউ ইংল্যান্ড বায়োল্যাবস দ্বারা উৎপাদিত এবং বাংলাদেশে ‘বায়োটেক কনসার্ন’ এর একমাত্র পরিবেশক।