তজুমদ্দিনে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার

বাঙ্গালি জাতির গর্ব ও অহংকারের দিন একুশে ফেব্রুয়ারী। আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে ও শহীদদের প্রতি সম্মান এবং শ্রদ্ধা জানাতে ভোলার তজুমদ্দিনের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন শহীদ মিনার নেই। অথচ সরকারিভাবে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে একুশে ফেব্রুয়ারী পালনের নির্দেশ থাকলেও বিদ্যালয়গুলোতে শহীদ মিনার না থাকায় শিক্ষার্থীরা দিবসটি ভালোভাবে পালন করতে পারছে না। ভাষা আন্দোলনের ৬৮ বছর পরও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদ মিনার না থাকায় একুশে ফেব্রুয়ারী আসলে নিজ উদ্যেগে কলা গাছ কাগজ দিয়ে সাজিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার বানিয়ে কিংবা পাশ্ববর্তী কোন প্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ছাত্র ছাত্রীরা । অথচ অধিকাংশ বিদ্যালয়গুলিতে সরকারি বা বেসরকারি খাতের টাকা বিভিন্ন কাজে ব্যয় করলেও সামান্য ব্যয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান প্রর্দশণের জন্য শহীদ মিনার তৈরি করতে উদ্যোগ গ্রহণ করে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,এ উপজেলা ১১০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১৫টি মাদ্রাসা রয়েছে যার মধ্যে একটি বিদ্যালয়েও নেই কোন শহীদ মিনার। সেই হিসেবে এই দিবস পালনে তাদের নেই কোন মাথা ব্যাথা। এদিকে ১৬ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে শম্ভুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পঞ্চপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শিবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকলেও বাকী প্রতিষ্ঠাগুলোতে নেই।
ফারজানা চৌধুরী শাওন বালিকা নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যায়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার ও ৭ম শ্রেণির ছাত্রী প্রাপ্তি নন্দি বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে শহীদ না থাকায় আমরা ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পাশ্ববর্তী প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়।
বাংলা বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তাই প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারী আসলেই দিবসটি পালনের জন্য বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে কলা গাছ ও রঙ্গিন কাগজ দিয়ে একদিনের জন্য তৈরি করে নেই।