বরিশালে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে যুবতী ধর্ষণ মামলায় অধ্যক্ষ কারাগারে

বরিশালে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে যুবতী ধর্ষণ মামলায় অধ্যক্ষ কারাগারে


বরিশালে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে এক যুবতীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় কলেজ অধ্যক্ষকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বরিশালে বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়ন ইসলামিয়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার বিকেলে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসর্মপন করে অধ্যক্ষ শহীদুল জামিন আবেদন করলে ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু শামীম আজাদ জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠি ইউনিয়নের কোচনগর এলাকার আব্দুর রশিদ মাতুব্বরের ছেলে। 
ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারি আজিবর রহমান জানান, বাকেরগঞ্জের ৭ নম্বর কবাই ইউপির সোনাকান্দা গ্রামের ওই যুবতীর সঙ্গে অটো রিক্সায় যাতায়াত করার সুবাদে অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামের পরিচয় ঘটে। পরিচয়ের সূত্র ধরে ওই যুবতীর মুঠোফোন নম্বর সংগ্রহ করে সে। পরে অধ্যক্ষ ওই যুবতীকে বিভিন্ন সময় ফোন করে বিয়ের প্রস্তাব দেন ও তার কলেজে চাকরী দেয়ার প্রলোভন দেখায়। এতে যুবতী ও অধ্যক্ষের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা এবং এক পর্যায়ে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। 

এর ধারাবাহিকতায় অধ্যক্ষ বিভিন্ন সময় ওই যুবতীর বাড়ি যান অধ্যক্ষ শহীদুল। বাড়িতে অন্যান্য সদস্যরা না থাকার সুযোগে ওই যুবতীকে ধর্ষণ করে সে। যুবতী তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে শহীদুল বিয়ের আশ^াস দিয়ে টালবাহানা করে। 

সবশেষ ২০১৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে যুবতীর বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম পুনরায় কলেজে চাকরি দেয়ার কথা বলে তাকে ধর্ষণ করে। যুবতী আবারো তাকে বিয়ে করার কথা বললে অধ্যক্ষ বিয়ে করতে অস্বীকারসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকী দেয়। 
এ ঘটনায় গত ২২ জুন বাকেরগঞ্জ থানায় অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন ওই যুবতী। মামলা দায়েরের পর গত ২৩ সেপ্টেম্বর অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম উচ্চাদালত থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। উচ্চাদালতের আগাম জামিনের মেয়াদ শেষে অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম গতকাল বুধবার বিকেলে বরিশালের ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।