তথ্য কমিশনার হিসেবে যোগ দিলেন পটুয়াখালীর সন্তান আবদুল মালেক

তথ্য কমিশনার হিসেবে যোগদান করলেন পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার কৃর্তী সন্তান আবদুল মালেক। বর্তমান সরকারের সাবেক এই সচিবকে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় তথ্য কমিশনার হিসেবে বুধবার নিয়োগ প্রদান করেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি।
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর তিনি তথ্য মন্ত্রনালয়ের তথ্য সচিব হিসেবে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেছিলেন। আবদুল মালেক সর্বশেষ ২০১৮ খিস্টাব্দের ১৮ মার্চ তথ্য মন্ত্রণালয়ে সচিব পদে যোগদান করেছিলেন। তথ্যমন্ত্রণালয়ে যোগদান করার অগে তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ছিলেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ ছিলেন এই কর্মকর্তা। তিনি দীর্ঘ ৩৪ বছর সরকারের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার বগা ইউনিয়নের সাবুপুরা গ্রামের কৃতি সন্তান আবদুল মালেক। মেধাবী ছাত্র আবদুল মালেক ছাত্রজীবনে রাজনীতিতে অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন। বিসিএস (প্রশাসন) ১৯৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা আবদুল মালেক ১৯৮৬ সালে সহকারী কমিশনার পদে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি মাঠ পর্যায়ে ও নীতি নির্ধারনী কর্মে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন পদে বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, জামালপুর, ময়মনসিংহ, রংপুর, মাগুরা ও খুলনায় দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কুমিল্লার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।
এ ছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বস্ত্র মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন ব্যুরো, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালন করেন। তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম-সচিব এবং অতিরিক্ত সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের দীর্ঘ প্রায় তিন বছর সচিব ছিলেন আবদুল মালেক। এর আগে অতিরিক্ত সচিব থাকাকালে তিনি প্রানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তথ্য সচিব পদে যোগদানের আগে তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব পদে কমরত ছিলেন। আবদুল মালেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ হতে বিএসএস (অনার্স)সহ মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। এছাড়া পরবর্তীতে তিনি এলএলবি ডিগ্রী অর্জন করেছেন। কর্মজীবনে বিভিন্ন দেশ ও বিদেশের কোর্স ও সেমিনারে অংশগ্রণ করেন আবদুল মালেক।
আবদুল মালেক বাংলাদেশ এ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সভাপতি। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব গভর্নেন্স-এর সদস্য তিনি। এছাড়া ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ ও আদ-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।