তফসিল ঘোষণা থেকে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের দাবি চরমোনাই পীরের

বরিশালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুহতারাম আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের
তফসিল ঘোষণার পূর্বে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিতে হবে। জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করতে হবে এবং নির্বাচনের দিন সশস্ত্র বাহিনীর হাতে বিচারিক ক্ষমতা দিতে হবে।
শুক্রবার বিকেল পাচটায় টায় নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল বিভাগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এ কথা বলেন চরমোনাই পীর।
১৫ দফা দাবি দাবি তুলে ধরে তিনি বলেন নির্বাচনে সকল দলকে সমান সুযোগ দিতে হবে। নির্বাচনের সকল দলের জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে হবে। রেডিও টেলিভিশনসহ সকল সরকারি বেসরকারি গণমাধ্যম সবাইকে সমান সুযোগ দিতে হবে। রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সকল ধরনের হয়রানী বন্ধ করতে হবে। দুর্নীতিবাজদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।
মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সংবিধান থেকে ইসলাম নামের পরিবর্তন করবে, ইসলামের দিকে চোখ তুলে তাকাবে, আর আমরা বসে বসে দেখব আঙ্গুল দিয়ে চেখের ভিতরে ঢুকিয়ে উঠিয়ে ফেলবো।
যারাই ক্ষমতায় আছে তারাই জনগণের অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধি দেশে এক ধরণের দুর্ভিক্ষের জন্ম দিয়েছে। যেকোনো মূল্যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে হবে। বাজার কারসাজির সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে। দেশে মদকসহ সকল ধরণের মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ করতে হবে। গোটা সমাজ ব্যবস্থায় এক ধরনের নৈরাজ্য চলছে, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করতে হবে। স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশ ও মানবতাবিরোধী মদের বিধিমালা বাতিল, শিক্ষা সিলেবাসে ধর্মীয় শিক্ষা সংকোচন বন্ধ সহ ১৫ দফা দাবি জানান সমাবেশে উপস্থিত বক্তারা।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েব আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফজলুল করিম। সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ নুরুল কবির আকরাম সহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ও সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।