তবে ফাঁসিই হোক

তবে ফাঁসিই হোক

আজ একটা কথা বলবার খুব স্বাদ হয়েছে, 
শুনবেন তো? 
খুব পুরাতন নয়, 
একেবারে যে নূতন বিষয়টা ঠিক তেমনও নয়। 
বলা যেতে পারে আধুনিক, 
অনেকটা ইদানিংকালের আধুনিকের মত। 
কি সে কথা? না, ঠিক কথা নয়- এক প্রশ্ন। 
আর প্রশ্নটি হলো ‘আপনি কুকুর চেনেন’? 

প্রশ্নটা একটু বিদঘুটে হলেও 
উত্তরটা কিন্তু বেশ চেনা এবং জানা। 
অতএব ঝটপট উত্তর- 
কুকুর, কুকুরতো? হ্যাঁ হ্যাঁ বিলক্ষণ চিনি। 
ইদানিং থেকে থেকেই তো পত্রিকায় ওদের ছবি ছাপা হচ্ছে। 
তবে পত্রিকার নামটা ঠিক মনে------

মনে পড়ছে না, তাইতো? 
কি করে পড়বে? 
রাজনীতির প্যাচকলে পড়ে নেতা হয়েছেন যে, 
তাই মন টন বলতে কিছু আর অবশিষ্ট আছে?  
‘দেশের সমস্ত পত্রিকা ছেপেছে কুকুরদের ছবি’ 
দেখুন দেখুন খুব ভালো করে দেখুন, 
চিনতে পারেন কি? 
চেনা চেনা লাগলেই বলবেন, দূরে থাকবো, 
ঘৃণা করবো, 
আপনাদের হইতে সাবধাণ থাকবো। 

সে আপনারা রাস্তায় যখন নেমেছেন 
যা করতে চান করুন। 
তবে আমি কিস্তু দেখছি, কুকুরের পক্ষেই সবাই।
কুকুর বাঁচাতে মানববন্ধন, পোস্টার, ফেস্টুন। 
তাকে নিয়েই সেলফি, লাইক, কমেন্টস, পোস্ট;
আরো কতো কি! 
কেউ কেউ অবশ্য বলছে বটে- 
নষ্ট বেওয়ারিশ, তাকে মেরে ফেলাই ভালো, 
নিদেন পক্ষে বন্ধাত্বের ব্যবস্থা করো।

নয়তো র‌্যাবিস জীবানু সংক্রামণে, 
জলাতংক রোগে মানুষ মরে যাবে।
এভাবে মরে মরে মানুষ কমে গেলে 
কুকুরের পক্ষে মানববন্ধন আর হবে? 
তখন কুকুরবন্ধন ছাড়া, 
কুকুরের বাঁচবার আর কোন পথ-ই থাকবে না। 

আরে দাঁড়ান দাঁড়ান,
ভালো করে একটু বুঝতে দিন তো- হচ্ছে টা কি? 
এইযে এতো আন্দোলন, 
বক্তৃতা, মানববন্ধন, ফাঁসি চাই বলে চিৎকার- 
সে কি সব ঐ কুকুরদের নিয়ে? 
একি তবে কুকুরদের বাঁচা মরার প্রশ্ন? 
তাহলে আমি যে আসতে আসতে শুনলাম- 
‘ওরা কুকুর অধিক জঘন্য 
ওদের মৃত্যুদ-ই আমাদের একমাত্র কাম্য’। 
তাহলে এই ‘ওরা’ কারা? 

ওরা? ওরা আমাদের শিশু-কন্যা-জায়া-জননীকে বলাৎকার করে, 
ওরা মানব আকৃতির বিকৃত ধর্ষক কুকুর।
ধর্ষক কুকুর! মানুষ নয়? 
তাহলে মানব কল্যাণে রাস্তার পাশে ডাস্টবিনের উচ্ছিষ্ট খাওয়া-পরিশুদ্ধ, নিরাপদ, 
বেওয়ারিশ কুকুরগুলোই বেঁচে থাকুক, 
আর ঐ নিষ্ঠুর, নির্দয়, নির্মম, 
ভয়ংকর ধর্ষক কুকুরদের ফাঁসি-ই হোক।