তাইওয়ানে টিকা প্রদান শুরু

তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী সু সেংচ্যাং অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার টিকা নিয়েছেন। সোমবার দেশটিতে টিকাদান কর্মসূচির শুরুর দিকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী টিকা নিয়েছেন। বলা হচ্ছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা নিরাপদ প্রমাণ করতেই শুরুর দিকেই টিকা নিলেন সু সেং-চ্যাং। রয়টার্স।
এক ডজনের বেশি ইউরোপীয় দেশ গত সপ্তাহে অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার টিকার প্রয়োগ বন্ধ ঘোষণা করেছিল। অভিযোগ ছিল, এই টিকার ব্যবহারে মানুষের দেহের রক্ত জমাট বেঁধে যাচ্ছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ইউরোপীয় পরিচালক গত বৃহস্পতিবার জানান যে এই টিকা নিরাপদ ও কার্যকর। এরপর গত শুক্রবার থেকে এ টিকার প্রয়োগ পুনরায় শুরু হয়।
সোমবার টিকা নেওয়ার পর তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী সু সেং-চ্যাং বলেন, ‘আমি সদ্যই টিকা নিয়েছি। কোনো ব্যথা নেই এবং শরীরেও কোনো অস্বস্তি নেই।’ রাজধানী তাইপের ন্যাশনাল তাইওয়ান ইউনিভার্সিটি হসপিটালে টিকা নেন তিনি। সু সেং-চ্যাং বলেন, ‘চিকিৎসক আমাকে বলেছেন, বিশুদ্ধ পানি বেশি করে পান করতে এবং বিশ্রাম নিতে। প্রথম নির্দেশনা মানব আমি। তবে দ্বিতীয়টি মেনে চলা একটু কঠিন। তবে আমি যতটা বেশি সম্ভব বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করব।’
তাইওয়ানে চলতি মাসের শুরুর দিকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ১ লাখ ১৭ হাজার ডোজ টিকা আসে। এই টিকাগুলো দক্ষিণ কোরিয়ার কারখানায় উৎপাদিত। দ্বীপটিতে প্রথম পর্যায়ে ৬০ হাজার মানুষ করোনার টিকা নেবেন। তাইওয়ানের নিউ তাইপের শহরে প্রথম করোনার টিকা নিয়েছেন একজন স্বাস্থ্যকর্মী।
গত ডিসেম্বরে তাইওয়ান প্রায় ২ কোটি ডোজ করোনার টিকা কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্যে ১ কোটি ডোজ কেনা হবে অ্যাস্ট্রাজেনেকা থেকে। তবে অন্যান্য দেশের তুলনায় কিছুটা দেরিতেই টিকাদান কর্মসূচি শুরু করল তাইওয়ান। তবে সেখানকার সরকার বলছে, এ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। কারণ দ্বীপাঞ্চলটিতে করোনা সংক্রমণের হার কম থাকায়, টিকাদান কর্মসূচি বিলম্ব হলেও তাতে ঝুঁকি সৃষ্টি হবে না।
তাইওয়ানে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত ৩৩ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দ্বীপটির সরকার বলছে, শুরু থেকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার কারণেই সেখানে মহামারি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।