তামিমের সেরায় বাংলাদেশের রেকর্ড

তামিম ইকবালের ক্যারিয়ারসেরা সংগ্রহ, যা বাংলাদেশের হয়েও ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ, দেশের মাটিতে সর্বোচ্চ ইনিংস, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তামিমের ১৩৬ বলে ১৫৮ রান এনে দিয়েছে রেকর্ডের ফুলঝুরি। যাতে ভর করে জিম্বাবুয়েকে ৩২৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছে টাইগাররা।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে ৩২২ তুলেছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যা টাইগারদের রেকর্ড সংগ্রহ। আগের সেরাটি গত ম্যাচেই ৬ উইকেটে করা ৩২১।
এদিন ঝলমলে এক দেড়শ পেরোনো ইনিংস দিয়েছেন তামিম। পথে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডেতে ৭ হাজারি ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন। কিছুদিন সমালোচনার মধ্যে কেটেছে তামিমের। টি-টুয়েন্টি, ওয়ানডেতে টেস্টের মতো ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন। বড় রানও আসছিল না। সব সমালোচনার জবাব ব্যাটেই দিলেন। ৪০ বলে ফিফটি, ১০৬ বলে শতক, ১৩২ বলে দেড়শ ছোঁয়া টাইগার ওপেনার ক্যারিয়ারের ১২তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি পেয়েছেন। থেমেছেন ২০ চার ও ৩ ছয়ে ইনিংস সাজিয়ে।
বাংলাদেশ-৩২২/৮ (৫০)
তামিম দুবার দেড়শ পেরোলেন। বাংলাদেশের আর কারো একবারও নেই। তার আগের সেরা ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই করা ১৫৪। এদিন ক্রিস গেইলকে টপকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও করেছেন টাইগার তারকা।
১৯ মাস পর সেঞ্চুরির দেখা পেলেন তামিম। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের তৃতীয় ওয়ানডেতে ১০৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। পরে আরও পাঁচটি ফিফটির দেখা পেলেও তিনঅঙ্ক ছুঁতে পারছিলেন না। দুবার ৮০-এর ঘর পেরিয়েছিলেন, সর্বোচ্চটি অপরাজিত ৮১ রানের।
বিজ্ঞাপন
উদ্বোধনীতে ৩৮ তুলে শুরু তামিম-লিটনের। ছন্দপতন ঘটে লিটনের দুর্ভাগ্যজনক রান আউটে। তামিমের সোজা ব্যাটে খেলা বল বোলার কার্ল মুম্বা ফলো থ্রুতে ধরতে চেষ্টা করলে তার হাতে লেগে দিক পাল্টে এলোমেলো করে দেয় ননস্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প। অনেকটা বেরিয়ে আসা লিটন আর ফিরতে পারেননি। ১৪ বলে ৯ রানে থামতে হয় তাকে।
পরের আউটটিও দুর্ভাগ্যজনক। শান্তকে রান আউটে ফিরতে হয় তামিমের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে। মাধেভেরের বল ফাইন লেগে ঠেলে রান নিতে চেষ্টা করেননি শান্ত, কিন্তু তামিম ছুটে পৌঁছে যান ব্যাটিং প্রান্তে। প্রায় অসম্ভব রানকে রানে পরিণত করার তাড়াহুড়ো করেন তামিম, মাশুল গুণে সাজঘরের পথ ধরতে হয় শান্তকে। ১০ বলে ৬ রানে থামে তরুণ বাঁহাতির পথচলা।
পরে মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গী করে দলীয় সংগ্রহ একশোর ওপারে টেনে নেন তামিম। দুই সিনিয়রের জুটিতে আসে দ্রুতগতির ৮৭ রান। দারুণ খেলতে থাকা মুশফিক ছয় মারতে যেয়ে বাউন্ডারির কাছে ক্যাচ দিয়েছেন। ফেরার আগে ৬ চারে ৫০ বলে ৫৫ রান জমিয়েছেন নামের পাশে।
ততক্ষণে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে তামিম এগোন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গী করে। দুজনে শতরানের জুটি আনেন। ৯৭ বলে একশ ছুঁয়েছে তাদের জুটি। যা ভেঙেছে ১০৬ রানে এসে। মাহমুদউল্লাহ ৩ চারে ৫৭ বলে ৪১ করে আউট হন।
তামিম তার আগে থেকেই বিধ্বংসী। টিনোটেন্ডার বলে ২৪ রান তুলেছেন রিয়াদকে নিয়ে। প্রথম চার বলে তিন চার ও এক ছক্কায় তামিম নেন ১৮, পরে বলে ওয়াইড-সিঙ্গেল, তারপরের বলে চার মারেন মাহমুদউল্লাহ।
তামিম ফেরার পর ৩ চার ও এক ছয়ে ১৮ বলে অপরাজিত ৩২ রান তুলে সংগ্রহ রেকর্ড জায়গায় নেন মোহাম্মদ মিঠুন।