তালতলীতে ইটভাটার কারণে রাস্তা দিয়ে ১০ হাজার মানুষের চলাচলের ভোগান্তি

বরগুনার তালতলী উপজেলার কড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের পূর্ব ঝাড়াখালী গ্রামে একটি অবৈধ ইটভাটার কারণে একটি বর্ষার সময় ভোগান্তিতে পড়তে হয় এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী স্কুল-মাদ্রসার শিক্ষার্থীসহ ১০ হাজার মানুষের। সড়কটি দ্রুত পাকা করনের দাবি এলাকাবাসীর।
স্থানীয় ভূক্তভোগী সূত্রে জানাগেছে, গত ৫/৬ বছর পূর্বে পার্শ্ববর্তী আমতলী উপজেলার মোঃ হোসেন নামে তালতলীর কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের পূর্ব ঝাড়াখালী গ্রামে হোসেন ব্রিকস আমতলী (এইচবিএ) নামে একটি নিবন্ধনহীন ইটভাটা স্থাপন করেন। এই ব্রিকসটি তৈরীর শুরুতেই এলাকার পরিশের ক্ষতির হওয়ার আশংকায় স্থানীয়রা বাঁধা প্রদান করেন। সেই বাঁধা উপেক্ষা করে ঐ অবৈধ ইটভাটাটি স্থাপন করা হয়। উত্তর ঝাড়াখালী স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা, আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ ঝাড়াখালী সালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসা, দক্ষিণ ঝাড়াখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পূর্ব ঝাড়াখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ ছয়টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র মাটির সড়কটি দিয়েই ঐ ইটভাটার মালামাল আনা নেওয়ার জন্য ট্রাক, ট্রলি, মাহেন্দ্রাসহ অন্যান্য ভারী যান চলাচল করতে থাকে। এতে করে বর্ষা মৌশুমে এ সড়কটি মানুষের চলাচলের জন্য একদম অযোগ্য হয়ে পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়ে ঐ সব এলাকার শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ।
উত্তর ঝাড়াখালী স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বলেন, এই সড়কটি দিয়ে বর্ষা মৌশুমে আমাদের চলাচল করতে অনেক সমস্যা হয়। সড়কটি দ্রুত পাকা করে দিলে আমাদের মাদ্রাসায় যেতে আর কোন ভোগান্তি পোহাতে হবে না।
দক্ষিন ঝাড়াখালী সালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সোলায়মান ও মাহফুজা বলেন, এ সড়কটি দিয়ে আমাদের মাদ্রাসাসহ আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা চলাচল করে। বর্ষার সময় চলাচল করতে অনেক সমস্যা হয়। বিশেষ করে শিশু ও মেয়ে শিক্ষার্থীদের বেশী সমস্যায় পড়তে হয়।
কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আঃ বারেক জানান, এই মাটির সড়কটি দিয়ে স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ ছয়টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ চলাচল করে। এই সড়কটি দিয়ে ইটভাটার ট্রাক, ট্রলি মাহেদ্রাসহ অন্যান্য ভাড়ী যান চলাচলের কারণে সড়কটি এখন বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি যাতে এই সড়কটি পাকা করা হয়।
হোসেন ব্রিকস আমতলী (এইচবিএ) মালিক মোঃ হোসেন মুঠোফোনে বলেন, সড়কটি মানুষের চলাচলের জন্য এক লক্ষ ইট দেওয়া হয়েছে। যাতে করে ট্রাক, ট্রলি ও মাহেদ্রা চলাচলে সড়কের কোনো ক্ষতি না হয়।
তালতলী প্রকৌশলী আহম্মেদ আলী মুঠোফোনে বলেন, খোঁজ-খবর নিয়ে দেখে সড়কটি যাতে খুব দ্রুত পাকা করণ করা যায় তার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, সড়কের ক্ষতি করে কোনো ইটভাটা চলতে দেয়া হবে না। সংশ্লিষ্ট এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের ভোগান্তির বিষয়টি উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দিলে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।