বিশ্ব বিজ্ঞান একাডেমির গবেষণা গ্রান্ট পেয়েছেন ববির সহকারী অধ্যাপক ড. রহিমা নাসরিন

দি ওয়ার্ল্ড অ্যাক্যাডেমি অফ সাইন্সেস (টোয়াজ) বিশ্ব বিজ্ঞান একাডেমির গ্রান্ট পেয়েছেন।বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. রহিমা নাসরিন। তাঁর এই অর্জনে গৌরবান্বিত হয়েছ বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণাগার প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা রয়েছে রহিমা নাসরিনের।
দি ওয়ার্ল্ড অ্যাক্যাডেমি অফ সাইন্সেস (টোয়াজ) একটি বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞান একাডেমি যা ইতালির ঃৎরবংঃব অবস্থিত। ১৯৮৩ সালে নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. আব্দুস সালাম এর নেতৃত্বে বিশিষ্ট বিজ্ঞানীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এ একাডেমি উন্নয়নশীল বিশ্বের সমৃদ্ধির জন্য বিজ্ঞান ও প্রকৌশলকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অপেক্ষাকৃত নতুন একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আছে রিসার্চ ফান্ড ও ল্যাবের সীমাবদ্ধতা। এই সীমাবদ্ধতাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে কাজ শুরু করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান ড. রহিমা নাসরিন। তিনি মনে করেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কাজকে বিশ্বমানে উন্নীত করতে পর্যাপ্ত রিসার্চ ফেসিলিটি প্রয়োজন। প্রয়োজন উন্নত মানের রিসার্চ ল্যাব। সেই লক্ষ্যে টোয়াজ রিসার্চ গ্রান্ট প্রোগ্রাম-২০২১ এ ড. রহিমা নাসরিন একটি রিসার্চ প্রজেক্ট প্রপোজাল পাঠিয়েছিলেন বিশ্ব বিজ্ঞান একাডেমিতে। যা দি ওয়ার্ল্ড অ্যাক্যাডেমি অফ সাইন্সেস (টোয়াজ) সিলেকশন কমিটি নির্বাচিত ও প্রশংসিত হয়েছে এবং তিনি ১৪ লক্ষ টাকার একটি রিসার্চ গ্রান্ট পাচ্ছেন। এর ফলে ড. রহিমা নাসরিনের নেতৃত্বে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের একটি রিসার্চ ল্যাব এর যাত্রা শুরু হবে।
এ প্রসঙ্গে ড. রহিমা নাসরিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের এক্সপেরিমেন্টাল গবেষণা রিসার্চ ল্যাব ব্যতীত সম্ভব নয়। ল্যাব ফেসিলিটি না থাকায় প্রায়শই শিক্ষার্থীদেরকে এক্সপেরিমেন্টাল কাজে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়/রিসার্চ ল্যাবের দ্বারস্থ হতে হয়। সে ক্ষেত্রে তাদের সময় ও অর্থ ব্যয় এবং অন্যান্য অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। এ অবস্থার উত্তরণে প্রয়োজনীয় ফান্ড সংগ্রহ করে ল্যাব নির্মাণের উদ্যোগ নিতে হবে শিক্ষকদেরকেই। হাজার মাইলের যাত্রা এক কদম দিয়ে শুরু হয়। সুতরাং বারংবার চেষ্টাই যেকোন উদ্যোগে আনে সফলতা। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন এ ব্যাপারে আমাদেরকে প্রতিনিয়ত উৎসাহিত করছেন এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিচ্ছেন। বিশ্ব বিজ্ঞান একাডেমীর মত স্বনামধন্য একাডেমি থেকে এই রিসার্চ গ্রান্ট পাওয়ায় আমি সম্মানিত ও অনুপ্রাণিত। আশা করছি এই ল্যাব নির্মিত হলে শিক্ষার্থীদের গবেষণা কাজ অনেকটা ত্বরান্বিত হবে যা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বয়ে আনবে সুনাম ও সফলতা।