তিন বছরে কুয়াকাটা সাবমেরিনে ইনস্টল ব্যান্ডউইথ ১৩শত জিবিপিএস

কুয়াকাটায় অবস্থিত বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের উদ্বোধনের ৩ বছরের মাথায় ‘সি-মি-উই-৫ এ মোট ইনস্টল ব্যান্ড উইথের পরিমান ১৩শত জিবিপিএস এবং এনটাইটেল ক্যাপাসিটি ৩৬ টেরাবিট জিবিপিএস।
২০১৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটার মাইটভাঙ্গা গ্রামে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ‘সি-মি-উই-৫’ উদ্বোধন করেছেন। উদ্বোধনের পর থেকেই ২য় সাবমেরিন ক্যাবল সংযুক্ত হওয়ার ফলে তথ্য প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় আর এক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। সরকারের রাজস্ব আয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। ২০২১ সালের মধ্য সরকার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের যথাযথ ভূমিকা পালন করে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এই স্টেশনটি হওয়ায় ইন্টারনেট ও ব্যান্ডউইথের ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে বলে জানিয়েছেন উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো.তরিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘সি-মি-উই-৫ কনসোর্টিয়াম আমাদেরকে ১ হাজার ৩০০ জিবিপিএসই ব্যান্ডউইথ দিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু আমাদের বাজার কতটা তৈরি, কতটুকু প্রয়োজন এসব আগে জানতে হবে। বাজারে যদি ব্যান্ডউইথের চাহিদা না থাকে তাহলে বেশি নিয়ে আমরা কি করব।’
কুয়াকাটার ২য় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের ধারন ক্ষমতা হল একহাজার ৫০০ জিবিপিএস যা ১ম সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের ধারন ক্ষমতার চেয়ে প্রায় ৫ গুণ বেশি। ২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে এই কনসোর্টিয়ামের উদ্বোধন হয়। একই বছরের ১৬ জানুয়ারি হাওয়াইয়ের হনুলুলুতে ২০ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ২৪ টেরাবাইট পার সেকেন্ড (টিবি/এস) গতির এই সি-মি-উই-৫ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। এই কনসোর্টিয়ামে যুক্ত রয়েছে বাংলাদেশসহ ১৭টি দেশ এবং এই ক্যাবলের মোট ল্যান্ডিং পয়েন্ট রয়েছে ১৮টি। বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবেলের সূত্র মতে ২০১৩ সালের শেষের দিকে ১০ একর জমির উপর ৬৬০ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত হয় এই সাব মেরনি ক্যাবেলটি।