তিস্তার পানি বিপদসীমার ২০ সে.মি ওপরে, জলঢাকায় সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি

তিস্তার পানি বিপদসীমার ২০ সে.মি ওপরে, জলঢাকায় সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি
টানা সাতদিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে রবিবার (১৪ জুলাই) সকাল থেকে বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৬০) ২০ সেন্টিমিটর ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদীর তীরবর্তী জলঢাকা উপজেলার চারটি ইউনিয়নের সহস্রাধিক পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। পাউবোর গেজ পাঠক (পানি পরিমাপক) মো. নুরুল ইসলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বন্যার পানি সামাল দিতে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি (৪৪টি) স্লুইস গেট খুলে রাখা হয়েছে।’ ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার জলঢাকার গোলমুণ্ডা, ডাউয়াবাড়ী, শৈলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের প্রায় ১২টি চরগ্রাম বন্যা কবলিত হয়েছে। এতে ওইসব গ্রামের সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যানরা।’ জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ পূর্নবাসন কর্মকর্তা এসএ হায়াত বলেন, ‘জেলার জলঢাকা উপজেলার বন্যা কবলিত মানুষের তালিকা এখনও হাতে পাইনি। তালিকা হাতে পেলে কী পরিমাণ ত্রাণ দেওয়া হবে তা জেলা পর্যায়ের বৈঠকের পর জানানো হবে।’ নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মহসিন রেজা রুপম জানায়, জেলায় গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৭৯ দশমিক ৬৬ মিলিমিটার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে জলঢাকায় ১৩৯ মিলিমিটার, সদরে ১১০ মিলিমিটার ও ডোমারে বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে ৮২ মিলিমিটার।