তৃণমূল নয়, বাম নেতারাও যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে

ধাক্কাটা এসেছে ক্ষমতাসীন তৃণমূলের ওপর। অবশ্য বাম ও কংগ্রেস নেতারাও যোগ দিচ্ছেন কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন হিন্দুত্ববাদী দলটিতে।
আনন্দবাজার জানায়, শনিবার মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে অমিত শাহের জনসভায় গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
একা শুভেন্দু নন, রাজ্যের শাসকদলের পাশাপাশি বাম এবং কংগ্রেসের একাধিক নেতাও আনুষ্ঠানিকভাবে ওই মঞ্চ থেকে যোগ দেন বিজেপিতে।
এদিন শুভেন্দুর সঙ্গেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা রাজনীতিতে অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তৃণমূল নেত্রী বনশ্রী মাইতি।
দল বদলেছেন রাজ্যের শাসক এবং বিরোধী শিবিরের একাধিক নেতা। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গেছেন বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল।
শুভেন্দুর হাত ধরেই বিজেপিতে গেছেন তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা থেকে থাকা সুদীপ মুখোপাধ্যায়। অবশ্য ২০১৬ নির্বাচনে দলের বিরুদ্ধে গিয়ে বাম-কংগ্রেস জোটের হলে লড়েন তিনি। বিধানসভায় পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার সময় শুভেন্দুর সঙ্গী ছিলেন সুদীপ।
তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়েছেন শীলভদ্র দত্ত। এর আগে ২০১৫ সালে দল থেকে বরখাস্ত হয়ে পরে অবশ্য তৃণমূলের টিকিটেই নির্বাচনে লড়ে জয় পান তিনি।
কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুন্ডু ও মন্তেশ্বরের বিধায়ক সৈকত পাঁজাও যোগ দিয়েছেন। শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ বিশ্বজিতের সঙ্গে বর্ধমান জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথের বিরোধ চলে আসছিল। তার সঙ্গে বিরোধ বর্তমান বিধানসভার কনিষ্ঠ সদস্য সৈকত পাঁজারও।
তমলুকের সিপিআই বিধায়ক অশোক দিন্দাও যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। স্বামী অর্জুন মণ্ডলের পথ অনুসরণ করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন হলদিয়ার সিপিএম বিধায়ক তাপসী মণ্ডলও।
সিপিএম থেকে তৃণমূল হয়ে বিধায়ক দিপালী বিশ্বাসও নাম লিখিয়েছেন বিজেপিতে।
এছাড়া উত্তরের দুই নেতা আলিপুরদুয়ারের দশরথ তিরকে এবং সুকরা মুন্ডাও তৃণমূল ছেড়ে শনিবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।